ডিইউজে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
আপডেট: ২০১৬-০২-২০ ১২:৩৫:৩৮
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে ডিইউজে (ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত চলবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকরা সকাল থেকেই প্রেসক্লাবে চত্বরে হাজির হতে শুরু করেন। সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সাক্ষরিত এক আচরণ বিধিতে জানানো হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ৩০ মিনিট আগে অর্থাৎ সাড়ে ৮টার মধ্যে প্রত্যেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে একজন করে এজেন্টের নাম লিখিতভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। নির্বাচন এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না।
নির্বাচন চলাকালে ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করার দয়িত্ব এজেন্টদের। কোন ভোটার সম্পর্কে এজেন্টরা আপত্তি দিলে নির্বাচন কমিটি ভোটারের পরিচিতি চিহ্নিত করবে। ভুয়া ভোটার ধরা পড়লে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কোন ভোটার ভোট দেয়ার সময় পোলিং বুথে মোবাইল ও ক্যামেরাসহ কোন ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারবেন না।
নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের পরিচিতি তুলে ধরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। এর বাইরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রার্থীদের কোন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড, স্টিকার ইত্যাদি লাগানো বা স্থাপন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
নির্বাচনী প্রচারে কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো বা এ সংক্রান্ত কোন লিফলেট প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। ডিইউজের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার প্রার্থীতা/ভোট বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
ভোটারকে নিজের ভোটার নাম্বার জেনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে ভোটারদের ভোটার নম্বর সরবরাহ করার দায়িত্ব প্রার্থীদের।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন : আবু জাফর সূর্য, আবুল কালাম, কুদ্দুস আফ্রাদ, ড. উৎপল কুমার সরকার এবং শাবান মাহমুদ।
সহ-সভাপতি : অহিদুজ্জামান মিঞা, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মো. মফিজুল ইসলাম এবং মোস্তাক হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক : আবদুল মজিদ, এম এ কুদ্দুস, খন্দকার মোজাম্মেল হক, মেহেদী হাসান, রহমান মুস্তাফিজ, সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং সোহেল হায়দার চৌধুরী।
যুগ্ম-সম্পাদক : খায়রুল আলম, গাজী জহিরুল ইসলাম, রফিক আহমেদ, রওশন ঝুনু ও শাহানা শিউলী।
কোষাধ্যক্ষ : আশারাফুল ইসলাম, পলি খান, ফজলে রেজওয়ান করিম, বরুন ভৌমিক নয়ন ও সেবিকা রাণী।
সাংগঠনিক সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন, মামুন আবেদীন, শাহজাহান মিঞা, মুস্তফা মনওয়ার সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।
প্রচার সম্পাদক : আকতার হোসেন, আবু সাঈদ, আশীষ কুমার সেন, এম শাহজাহান ও নাজমুল হাসান।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : অনজন রহমান, খালেদ আহমেদ, মো. মফিজুর রহমান খান বাবু ও হামিদ মোহম্মাদ জসিম।
জনকল্যাণ সম্পাদক : এ জিহাদুল রহমান জিহাদ, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, শাহ আলম ডাকুয়া ও শেখ নূর ইসলাম।
দফতর সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহাঙ্গীর খান বাবু, জি এম মাসুদ ঢালী, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল এবং রহমান মুফিজ (মুফিজুর রহমান মুফিজ)।
এছাড়াও নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আলী মনসুর, ইকবাল হাসান কাজল, ইমরান আহমেদ, এ এম শাজাহান মিয়া, এ এস এম সাইফ আলী, এম এ হায়দার খান, কায়সার হাসান,খায়রুন্নেসা নিপা, জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, জি এম জোয়ারদার, দেবব্রত দত্ত, দেবাশীষ রায়, দুলাল খান, নাজু মির্জা, নাসির উদ্দিন বুলবুল, প্রণব কুমার মজুমদার, ফিরোজ কবির শাওন,মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, মর্তুজা হায়দার লিটন, মাহাবুব রেজা, জাকিউল ইসলাম বাবু, মো. তাওহীদ, মো. নাসির খান, মোহাম্মাদ মনিরুল আলম, মোস্তফা কামাল (সুমন মোস্তফা), মুঈদ খন্দকার, রারজানা সুলতানা, রেজাউল করিম রেজা, রফিকুল ইসলাম রিপন, শামীমা আক্তার (শামীমা দোলা), শেখ আরিফ বুলবন, সলিম উল্লাহ সেলিম, সাগর বিশ্বাস, সাহিন কাওসার ও সোহেলী চৌধুরী।