বাজেটে দরিদ্রদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ চায় সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-১২ ২০:১৩:৩১


আগামী অর্থবছরের বাজেটে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিতে হবে।

ব্যক্তিশ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ের করমুক্ত সীমা বাড়ানোরও সুপারিশ করেছে সিপিডি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের সুপারিশমালা তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী বাজেট আসছে এমন এক সময়ে যখন নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে, বহিঃখাত প্রচণ্ড চাপে রয়েছে, বিদেশি উৎস থেকে সরকারের ঋণও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব সংগ্রহ নির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্যে না রেখে বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, সিপিডি কোনও কোনও ক্ষেত্রে কর হার বাড়ানো ও কোনও ক্ষেত্রে প্রণোদনা পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেছে। অর্থপাচার রোধে ট্রান্সফার প্রাইসিং জোরদারে উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী বাজেটে এমন সব উদ্যোগ দরকার যাতে মানুষের কাজের সুযোগ বাড়ে। কৃষি উৎপাদন খরচ কম হয়। এজন্য সার ও জ্বালানিতে ভর্তুকি ও শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব ও পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের মূল্য বাড়ে। সরকারকে কঠোর হাতে এসব বন্ধ করতে হবে।

একই সঙ্গে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাজারে ডলার সরবরাহের সুপারিশ করেন ফাহমিদ খাতুন।

পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দ বাড়ানো, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবীমা, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন ও এ খাতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশও করেন তিনি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যতিক্রম সময়ে বাজেট আসছে। এ রকম ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিতে হবে। কীভাবে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যায় সেজন্য বাজেটে পদক্ষেপ থাকতে হবে।

‘আমদানি পর্যায়ে কর ছাড় দিতে হবে। বাজেট ঘাটতি মেনে নিতে হবে।’

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নতুন ইকোনমিক সোশাল অর্ডার প্রয়োজন। এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। সরকারের ঋণ ও দায়, বাজার, সুশাসন রাজস্ব কাঠামোতে বিশেষ নজর দরকার।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের আগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কিছু প্রকল্প নেওয়া হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনই সতর্ক থাকা দরকার।

এএ