মাসের ব্যবধানে রসুনের কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা
প্রকাশ: ২০১৬-০২-২১ ১৪:৪৮:০৯
রাজধানীর খুচরা বাজারে বেড়েছে রসুনের দাম। মাত্র ১ সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম মানভেদে কেজিতে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। আর এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকার মতো। মৌসুম শেষ হওয়া ও লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকেরা আমদানি কমিয়ে দিচ্ছে। এতে সরবারহ কমে যাওয়ায় বাড়ছে রসুনের দাম।
আজ রোববার রাজধানীর শান্তিনগর, ফকিরাপুলসহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ১ কেজি পুরোনো দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায় এবং আমদানি করা মোটা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। তবে খুব বেশি চাহিদা না থাকলেও বাজারে নতুন মৌসুমের দেশি নতুন কাঁচা রসুন পাওয়া যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকা দরে।
বাজার এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি পুরনো দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায় এবং মোটা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজিতে। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় দেশি পুরনো রসুন বাজারে নেই বললেই চলে। এতে করে আমদানি করা মোটা রসুনের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম গড়ে বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং আমদানি করা রসুনের দাম গড়ে বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে শান্তিনগর বাজারের রসুন ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন বাবু বলেন, খুব শিগগির দেশি রসুন পুরোপুরিভাবে বাজারে আসবে। এ কারণে লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে সরবরাহ সংকট চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমদানি করা রসুন। তবে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে কাঁচাবাজারেও।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকলেও বাজারে সেভাবে বাড়েনি সবজির দাম। সপ্তাহ শেষে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।
ছুটির দিনে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, কেজিপ্রতি বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত মৌসুমের না হওয়ায় বাড়তি দামে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, ঢেড়স ৫০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা এবং আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা; দেশি রসুন ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা ও মোটা আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি ৫ লিটারের রুপচাঁদা সয়াবিন তেলের বোতলের বিক্রি হচ্ছে ৪৫৮ টাকায় এবং ৫ লিটারের তীর সয়াবিন তেলের ৪৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার কিছুটা উর্ধ্বমূখী। আকার ভেদে রুই মাছ কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, আকার ভেদে কাতল ৩৫০- ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, বেলে মাছা ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ইলিশের দেখা মেলায় ভার।
এদিকে গতসপ্তাহর দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও হাঁসের ডিম। ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ৩৪ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৬০ টাকা ও লেয়ার ১৩০ টাকা, গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো