তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৪-২৩ ১৮:৫৯:৪৬
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন এক সেমিনারে বক্তারা।
তারা বলেন, ৭৫ শতাংশ বাজার দখল করে রাখা নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম গত দুই বছর ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে এ স্তরের ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে না। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয়া মিশন ঢাকা ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘টোব্যাকো প্রাইস অ্যান্ড ট্যাক্স’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ প্রস্তাব দেন।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শারমীন রিনভী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান, সিটিএফকে গ্র্যান্ডস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত দুই বছর ধরে বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।
উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী মূল প্রবন্ধে বলেন, সিগারেটের বর্তমান শুল্ক কাঠামো বেশ জটিল। এটিকে আরও সহজ করতে হবে। প্রতি দশ শলাকার নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মধ্য স্তরের সিগারের প্রতি প্যাকেট ৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা যেতে পারে।
উচ্চস্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের দামও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন আবদুল্লাহ নাদভী। এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি ধূমপায়ী কমবে ১৩ লাখ। এছাড়া ৯ লাখ তরুণ ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে বলে জানান তিনি ।
ঢাকা আহসানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সিটিএফকে গ্র্যান্ডস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এতে দারিদ্র্য বিমোচন যেমন হবে, তেমনি তামাকজনিত রোগের পেছনে সরকারের ব্যয় কমে আসবে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ে সরকার উভয় সংকটে আছে। সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আবার রাজস্বের জন্য তামাক খাতে নির্ভরশীলতা রয়েছে। তবে ধূমপান কমাতে হলে সিগারেটের দাম বিশেষ করে নিম্নস্তরের সিগারেটের বাড়াতে হবে। কেননা ৭৫ শতাংশ সিগারেট ধূমপায়ী নিম্নস্তরের সিগারেট ব্যবহার করেন।
এএ