অস্থির হয়ে উঠছে বৈশ্বিক ভোজ্যতেলের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৪-২৬ ০৯:১৯:৪২


বৈশ্বিক খাদ্যপণ্য ও ভোজ্যতেলের বাজারে কয়েক মাস ধরেই অস্থিরতা চলছিল। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোজ্যতেলের বাজার হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়া। শীর্ষ উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশের এমন ঘোষণায় বৈশ্বিক ভোজ্যতেলের বাজারে বড় প্রভাব পড়ে। আগামীতে যা আরো অস্থির হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকরা।

ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক বাজারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় পাম, সয়াবিন, সরিষা ও সূর্যমুখী তেল। এর মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি ব্যবহার হয় পাম অয়েল। ভোজ্যতেলটির বৈশ্বিক সরবরাহের ৬০ শতাংশের বেশি আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। ২৫ শতাংশ আসে মালয়েশিয়া থেকে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রফতানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। বৃহস্পতিবার থেকে যা কার্যকর হওয়ার কথা। এ ঘোষণার পরই ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। বিশেষ করে দেশটির পাম অয়েলের ওপর নির্ভরশীল ভারত, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিসর, কেনিয়াসহ ইউরোপের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করে।

বুরসা মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জে অপরিশোধিত পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য গতকাল ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪০ শতাংশ বেশি। রয়টার্সের তথ্য বলছে, শিকাগো বেঞ্চমার্কে সয়াবিন তেলের দামও ২০০৮ সালের সর্বোচ্চে উঠেছে। দাম বাড়ছে অন্যান্য ভোজ্যতেলেরও।

সানবিডি/এনজে