‘তেলে ৩৪ হাজার কোটি ডলার ধরা মধ্যপ্রাচ্য, বাজেটে ধাক্কা’

প্রকাশ: ২০১৬-০২-২২ ১৮:২৯:৫২


lagarde-600x371আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পণ্যটির উৎপাদক দেশগুলো। এর মধ্য শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ক্ষতি হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি ডলার। যা ২০১৫ সালে দেশগুলোর বাজেটে ব্যাপক ধাক্কা দিয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ কমে গেছে।

ক্রিশ্চিন লাগার্দে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছেন আইএমএফের। তিনি আজ সোমবার আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত আরব ফিসকল ফোরামে জানান, তেলের সরবরাহ ও চাহিদার অসামাঞ্জস্যতাই এ বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। দীর্ঘ মেয়াদে পণ্যটির দাম কম থাকতে পারে।

এর অর্থ সব তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোকে ব্যয় কমাতে হবে। এবং আয় বাড়াতে হবে।

আইএমএফ প্রধান বলেন, অতীতে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলো অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। আমার বিশ্বাস, তারা আবারও এটা প্রমাণ করে দেখাতে পারবে।  অর্থনৈতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এসব দেশের এখন কর সিস্টেমকে নতুন করে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, কর পদ্ধতিতে কর্পোরেট আয়কর, সম্পদের ওপর কর ও আবগারি শুল্ক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত কর চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ঘোষণা দেয়, জিসিসি ভুক্ত দেশগুলোয় চালু হতে যাচ্ছে ভ্যাট (ভেল্যু এডেড ট্যাক্স)। ২০১৮ সাল থেকে এ খাতে রাজস্ব আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছে ১০-১২ বিলিয়ন দিরহাম। তবে এর আগে তাদের অভিন্ন ট্যাক্স পলিসি নেবে। এই ভ্যাট ৩-৫ শতাংশ ধরার প্রস্তাব দেওয়া হয়।