একাধিক স্থানে মনোনয়নপত্র নেবে ইসি

আপডেট: ২০১৬-০২-২৯ ১৭:২৩:০৮


ECআসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি কিংবা বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই বাধা দূরীকরণের লক্ষ্যে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইউপি নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দানে বাধার দেয়ার অভিযোগ আমলে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে একাধিক স্থানে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করবে ইসি। এমন একটি সিদ্ধান্ত কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ আসুক। কিছু কিছু জায়গা ধেকে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারার অভিযোগ এসেছে। আর তাই প্রত্যেক দলীয় প্রার্থীরা যেন বিনা বাধায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে- এ লক্ষ্যে আমরা এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হলেই চূড়ান্ত হবে বিকল্প স্থানগুলো কোথায়। আপাতত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে।’

সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।

বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘তারা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাদের অভিযোগ ঢালাও। ঢালাও অভিযোগে তদন্ত করা কষ্টকর। এরপরও আমরা কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত করেছি।’

একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা নেয়ার সিদ্ধান্তের ফলে ইসি কি বিএনপির অভিযোগ আমলে নিচ্ছে? – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেউ যেন কোনো অভিযোগের সুযোগ না পায় সেজন্যে আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। কেউ যেন অন্যায় অভিযোগ করার সুযোগ না পায় সে ব্যবস্থা নিতেই একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, কোনো সংর্ঘষ হয়না। এর পরও আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে বলেছি। আপতত একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দেয়ার চেষ্টা করেছি। নির্বাচনের সময় এ সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের পর্যবেক্ষণে অনিয়মের কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি।’

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন একটি বিরাট নির্বাচন। সবার সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবে। এজন্য যা যা করা দরকার করবো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়ে দিবো। প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে।’