খুলে দেওয়া হলো নলকা সেতু, ঈদযাত্রায় স্বস্তির আশা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-০৪ ২০:৩৪:০৮
অবশেষে খুলে দেওয়া হলো সিরাজগঞ্জের নবনির্মিত নলকা সেতুর দুটি লেন। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি অনেকটা কেটে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উভয় লেন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবু সাদ, মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এখলাস উদ্দিন, সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক শের শাহ, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ সেতুর একটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছিল।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম রুট বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। ১৯৮৮ সালে এ মহাসড়কের নলকা এলাকায় ফুলজোড় নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ হওয়ার পর এ সেতুর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। কমতে থাকে এর স্থায়িত্বকাল। একপর্যায়ে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এর ওপর দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে থাকে যানবাহন। এ কারণে জরাজীর্ণ এ সেতুটিকে ঘিরে প্রতিবছর ঈদেই পুরো মহাসড়কে ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ প্রকল্পের এলেঙ্গা-রংপুর চারলেন মহাসড়ক নির্মাণের আওতায় নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২৮৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির ওপর রেলিং নির্মাণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনসহ বেশকিছু কাজ এখনো বাকি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ নলকা সেতুটি ছিল উত্তরাঞ্চলের যাত্রাপথে গলার কাঁটার মতো। এ সেতুটিকে ঘিরেই সৃষ্টি হতো যানজট, দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ। এ সেতুটিকে নিয়ে তাঁরা তটস্থ থাকতেন। এ স্থানে নব-নির্মিত সেতুর উভয় লেন চালুর ফলে দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাসেক-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক আহসান মাসুদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে সেতুটির দুটি লেন আজ খুলে দেওয়া হলো। তবে সেতুর সৌন্দর্যবর্ধনসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। আর সেতুর পূর্ব প্রান্তে একটি আন্ডারপাস নির্মাণকাজও চলছে।
এএ