২০২১-২২ অর্থবছর

বেনাপোল বন্দরে ৫৫৮ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৭-০৫ ১০:৪৯:৫৫


সদ্যবিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থবছরটিতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, বিপরীতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ওই বছর ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এদিকে, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে ৪ লাখ ৩০ হাজার টন পণ্য আমদানি কম হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ২১ লাখ ১৪ হাজার টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টন পণ্য।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ব্যবসায়ী চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারেন না। এতেই বারবার রাজস্ব আয়ে ধস নামছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস অন্য শুল্ক স্টেশনের তুলনায় বেশি শুল্ক আদায় করছে। আবার বন্দরে তীব্র জায়গা সংকট। পণ্য ওঠানামার ক্রেন ফর্কলিফট নষ্টের কারণে সঠিক সময়ে আমদানিকারকরা পণ্য নিতে পারেন না। আবার ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় কমে গেছে। তবে বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন, ভারতে হয়রানি বন্ধ হলে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব।

এনজে