সীতাকুণ্ডের বিধ্বস্ত ডিপোতে মিলল পোড়া হাড়গোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-০৬ ১৫:১২:০২


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে আরেকটি মরদেহের পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার একমাস দুইদিন পর আজ বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে মাথার খুলি ও হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুপুরে বিধ্বস্ত শেডের ভেতরে থাকা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন ডিপোর কর্মীরা।

এ সময় তাঁরা ডিপোর লম্বা শেডের ভেতরে ধ্বংসস্তুপ সরানোর সময় একটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় দেখতে পান। ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের অবহিত করলে আমরা ডিপোতে পৌঁছে পোড়া হাড়গোড়গুলো উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা মাথার খুলি ও হাড়গোড়গুলো একটি মরদেহের বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টায় সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিক দ্রব্যভর্তি একটি কনটেইনারের বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে বেশ কয়েকটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

তদন্তকারীরা বলেছেন, ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিএম কনটেইনার ডিপোর ৮ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

এনজে