সরকারী সিকিউরটিজ লেনদেনের উপর ডিএসই’র কর্মশালা
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০৭-০৬ ২০:১৬:০৪
স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারী সিকিউরটিজ লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে নিয়ে জুম প্লাটফর্মে দ্বিতীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি, সিডিবিএল, সিসিবিএল এবং ডিএসই’র প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ও স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমান। তিনি সরকারী বন্ড ট্রেডিং এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সিডিবিএল এর মহাব্যবস্থাপক মনিরুল হক সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের সামগ্রিক কাঠামো তুলে ধরেন।
এছাড়াও ডিএসই’র আইটি বিভাগের এ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট ডিপাট্র্মেন্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার এ এইচ এম রাহাত আহমেদ লেনদেনের পদ্ধতি তুলে ধরেন। এর আগে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারদের নিয়ে ১ম কর্মশালা গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জের সেকেন্ডারী মার্কেট প্লাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করার জন্য ৭ টি প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: অর্থমন্ত্রণালয় (ফাইন্যান্স ডিভিশন ও ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউট ডিভিশন), বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ও সিসিবিএল। সংশ্লিষ্ট এই কাজের অগ্রগতির অংশ হিসেবে গত ১২ জুন এই পাঁচ পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের প্রেক্ষাপট ত্বরান্বিত হয়েছে। অচিরেই সকল পক্ষের সমন্বিত প্রস্তুতি সাপেক্ষে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ডিএসই।
এর মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগের পাশাপাশি ঝুঁকিহীন ডেট মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী হয়েছে। পাশাপাশি এ বাজারে যে সকল বিনিয়োগকারী ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে আগ্রহী এবং এই সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে না থাকার কারণে এ বাজারে এতদিন যুক্ত ছিলেন না তাঁদেরও সম্পৃক্ত হবার প্রেক্ষাপট তৈরী হলো। অর্থাৎ এতে পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। যা বাজার সম্প্রসারণ এবং দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সমানভাবে সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এএ