পদ্মা সেতু দিয়ে চলতে চীনে প্রস্তুত হচ্ছে ১০০ রেলকোচ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৭-১১ ১৫:১১:৪৩


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন উদ্বোধন করেন পদ্মা সেতুর।উদ্বোধনের  পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুতে। দ্বিতল বিশিষ্ট এ সেতুর নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। এরই মধ্যে ট্রেন চলাচলের দিনক্ষণও ঠিক করা হয়েছে। সড়ক সেতু অংশের ঠিক এক বছর পর ২০২৩ সালের জুনে উদ্বোধন হবে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’। ১৭২ কিলোমিটার এ রেলপথ ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যাবে যশোর।

প্রথম ধাপে চালু হবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত। ৮২ কিলোমিটার এ রেলপথ ২০২৩ সালের জুনে খুলে দিতে পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশের রেলপথ মানেই ব্যালাস্ট্রেড। এ রেলপথে গ্রানাইট পাথর ব্যবহার করা হয়। থাকে ইস্পাতের স্লিপার ও কাঠের বন্ধন। পাথর দেওয়ার কারণ হচ্ছে যাতে ট্রেন লাইনচ্যুত না হয়। তবে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের উড়ালপথ অংশে কোনো পাথর থাকবে না। অত্যাধুনিক এ উড়াল রেলপথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন।

নতুন এ রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে স্টেশনে স্লিপারসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী মিলে প্যানেল তৈরি হচ্ছে। পরে মেশিনের সাহায্যে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রেলপথে। এতে দ্রুতসময়ে রেলপথ নির্মিত হবে। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে একসঙ্গে ২৫-৩০টি স্লিপার মিলে একটি প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। স্লিপারের সঙ্গে সঙ্গে বসে যাচ্ছে রেলপথও। এ প্রকল্পের আওতায় ১০০টি আধুনিক প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ (কোচ) সংগ্রহ করা হবে। এগুলো নির্মিত হচ্ছে চীনে। একদিকে রেলপথ নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে চীনে তৈরি হচ্ছে রেল কোচ। ১০০টি প্যাসেঞ্জার ক্যারেজের মধ্যে ৩২টি চলতি বছরের নভেম্বরে চীন থেকে পাঠানো হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্ক) আবু ইউসুফ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের পর রেলপথ নির্মাণে খুব বেশি দেরি হবে না। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০২৩ সালের জুনে চালুর জন্য কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ চলমান। ভূমি অধিগ্রহণের পরে পাথর বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্টেশনগুলোতে তৈরি হচ্ছে স্লিপার ও রেলপথ প্যানেল। এরপর মেশিনের সাহায্যে রেলপথে সেই প্যানেল বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত পাথরের ওপর একটা করে স্লিপার বসানো হয়, কিন্তু এখানে একটা প্যানেল বসানো হচ্ছে যেখানে একাধিক স্লিপার থাকছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে রেলপথ তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে চীনে তৈরি হচ্ছে ১০০টি কোচ। কোচগুলো পর্যায়ক্রমে দেশে আসবে। পদ্মা সেতু হয়ে কোচগুলো এ রেলপথে চলাচল করবে।

এনজে