‘কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করতে পারব না’

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৭-১৭ ১৪:২০:০৬


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে প্রধান দলগুলোর অংশ নেওয়া জরুরি। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অবশ্যই বাধ্য করতে পারব না। তবে সব দলকে অংশগ্রহণে আমরা আহ্বান করে যাব।

রোববার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনে এন‌ডিএমের স‌ঙ্গে সংলাপের শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, আমরা আমাদের আগামী নির্বাচনের দায় বহন করব। নির্বাচনটাকে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করব। সব দল সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাব।

তিনি বলেন, আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকবে, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করব? কাজেই আমরা সাহায্য করব। পুলিশের ওপর, সরকারের ওপর আমাদের কমান্ড থাকবে।

 

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা না থাকলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব, পেশিশক্তির প্রয়োগ ও প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চায় কমিশন। অন্যথায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটি কাম্য নয়।

সিইসি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নানাবিধ আশা, হতাশা ও তর্ক-বিতর্ক চলছে। বিতর্কগুলো নিরসন হওয়া প্রয়োজন।

ইভিএম প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম নিয়ে পাঁচ-সাতটি কর্মশালা এবং রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে উন্মুক্ত সভা করা হয়েছে। কেউ কোনো ত্রুটি দেখাতে পারেনি। তারপরেও ইভিএম সম্পর্কে বিভ্রান্তি-সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম, সহিংসতা, ব্যালট পেপার ছিনতাই হলে প্রতিরোধ কতটা সম্ভব হবে।

জাতীয় নেতারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ও মতৈক্য হয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর নিরসন করে নির্বাচনের অনকূল পরিবেশ ও সমতল ভিত্তি সৃষ্টি করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আনুষ্ঠানিক ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হয়েছে। আজই বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সঙ্গে বসবে ইসি।

এম জি