আগস্টে টিকা পাচ্ছে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-১৮ ১৮:৫৫:২৩


৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে আগস্ট থেকে। সোমবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে টিকা কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আগস্ট মাসে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের করোনার টিকা দেয়া হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের দুই কোটি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি শিশুকে প্রথমে টিকার আওতায় আনা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ ধরনের এ টিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংস্থাটি তিন কোটি টিকা দেয়ার কথা বলছে।

সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অভিভাবকদের দ্রুত শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এক দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পেইনে ২য় ডোজ প্রাপ্তির পর ৪ মাস হয়েছে এমন জনগোষ্ঠী বুস্টার ডোজ ও ১ম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় পরও যারা ২য় ডোজ নেননি তারা টিকা পাবেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে সরকার মঙ্গলবার দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার ও ২য় ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও ভ্যাকসিন দেয়া হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনে ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ০৫ শতাংশকে ১ম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে ২য় এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৫ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন) মোট প্রায় ২.৭৮ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।

এএ