গলে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক জয়

স্পোর্টস ডেস্ক আপডেট: ২০২২-০৭-২০ ১৫:৩২:৫৮


প্রথম ইনিংসে হাল ধরা বাবর আজম রেকর্ড রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তার ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে পাকিস্তানকে জেতালেন গল টেস্ট, এই মাঠে রেকর্ড ৩৪২ রান তাড়া করলো সফরকারীরা তার ব্যাটে। ৪ উইকেটে জিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।

নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচে গলের দূর্গে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানকে এনে দিলেন ঐতিহাসিক জয়। আবদুল্লাহ শফিকের দেড়শোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে গল স্টেডিয়ামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান।

২০১৯ সালে গলের দূর্গে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রান তাড়া করে জিতেছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। গলে এতদিন যা ছিল সর্বোচ্চ রান তাড়া করে টেস্ট জেতা স্কোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল মাত্র ১৬৪। সেই গলে কি না, চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪২ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের।

পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদেরই মাঠ পাল্লেকেলেতে ইউনিস খানের অপরাজিত ১৭১ রানের সুবাদে ২০১৫ সালে টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। আবারও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান।

যার জন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের। এই ব্যাটসম্যান সময়ের হিসেবে দেড়দিন এবং পাঁচ সেশন ক্রিজে থেকে ৪০৮ বলে মাত্র ৬ চার ও ১ ছয়ে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন।

শফিকের শতক ছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এসেছে বাবর আজমের ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ৫৫ রান। এ ছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪০ ও ইমাম উল হক করেছিলেন ৩৫ রান।

লঙ্কানদের দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ২২২ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। শেষ দিন বাকি ১২০ রান তুলতে মাঠে নামেন শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪০ রান করে জয়সুরিয়ার বলে ফেরেন রিজওয়ান। এরপর ১২ রান করে জয়সুরিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন আঘা সালমানও।

এরপরই দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে হাসান আলীকে নামিয়ে দেয় পাকিস্তান। তবে হাসান মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর অবশ্য মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আবদুল্লাহ।

এই ইনিংসেও ৪ উইকেট নেন জয়সুরিয়া। আর এক উইকেটের জন্য অভিষেকের পর টানা চার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া প্রথম বোলার হলেন না ৩০ বছর বয়সী প্রভাত জয়সুরিয়া।

এম জি