১ দশমিক ৪ শতাংশ কমবে ভারতের চিনি উৎপাদন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০৭-২৪ ০৯:২১:২৯
ভারতে ২০২২-২৩ মৌসুমে চিনি উৎপাদন কমার পূর্বাভাস মিলেছে। মিলগুলো এ সময় চিনির পরিবর্তে জৈব জ্বালানি ইথানল উৎপাদন বাড়াবে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) এক বিবৃতিতে উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে ইথানল উৎপাদন লাভজনক বলে মনে করছেন মিল মালিকরা। এছাড়া তুলনামূলক কম দূষণযোগ্য হওয়ায় জ্বালানিটির চাহিদা বেশি। এ কারণেই আখ থেকে চিনির পরিবর্তে ইথানল উৎপাদনের প্রবণতা বেশি।
এ ব্যাপারে ইসমার বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের অক্টোবরে ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুম শুরু হয়ে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এ মৌসুমে ভারতের চিনির উৎপাদন ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমবে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টনে। চলতি মৌসুমে প্রাক্কলিত উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন।
ইসমা জানায়, আসন্ন মৌসুমে ৪৫ লাখ টন আখ চিনির পরিবর্তে ইথানল উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। চলতি মৌসুমে যার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টন।
এদিকে চলতি বিপণন মৌসুমে ভারত এক কোটি টন চিনি রফতানির সম্ভাবনা দেখছে। মৌসুমের প্রথম সাত মাসে দেশটি প্রায় ৮৫ লাখ টন চিনি রফতানি করেছে। বাকি পাঁচ মাসে রফতানির জন্য দেশটি আরো ১৫ লাখ টনের চুক্তি সম্পাদন করেছে।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদক ও ব্যবহারকারী। ২৪ মে দেশটির সরকার চিনি রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথম পণ্যটির রফতানি বিধিনিষেধের মুখে পড়ল। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে এক মৌসুমে এক কোটি টনের বেশি চিনি রফতানি করা যাবে না।
এনজে