নিবন্ধনের আওতায় আসছে মাছ ধরার নৌযান
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৭-২৫ ১৮:৫৬:৫১
সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নৌযানগুলোকে সহজে চিহ্নিত করতে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। একই সাথে নৌযানগুলোতে বিশেষ রং করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আগামী ৪ মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামুদ্রিক মৎস আহরণ নীতিমালা-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস আইন অনুযায়ী একটি নীতিমালা করা হয়েছে। ২০টা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাতে আমরা সামুদ্রিক মৎস আহরনকে একটা সিস্টেম আনতে পারি।
‘সমুদ্রে যতো নৌযান মাছ ধরে সেগুলোকে ইমেডিয়েটলি রেজিস্ট্রেশন করা ডিফিকাল্ট হবে। তাই এ মূহুর্তে কালার করে নম্বর দেয়া হবে যাতে সেগুলোকে আইডেন্টিফাই করা যায়। সবুজ, লাল অথবা যেটা দেয়া হোক, সেটা নিয়েই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে মায়ানমারের কিছু নৌকা আমাদের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। এখন ২০-৪০ হাজার নৌকার মধ্যে বাইরের একটা নৌকা ঢুকলে, তা চিহ্নিত করা মুশকিল। ভারতের নৌকার কিন্তু একটা কালার আছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বরও আছে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর যেহেতু লাগবে সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ থেকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
‘মৎস সচিব জানিয়েছেন তারা ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, নম্বর তারা দিয়ে দিচ্ছেন। মন্ত্রিসভা থেকে বলা হয়েছে নম্বরের পাশাপাশি রংটাও দিয়ে দিতে। সবুজ-লাল, নাহলে যেটা কমফোরটেবল হয় সেই রং দিতে হবে। নম্বর দিতে ৩-৪ মাস সময় দেয়া হয়েছে, এরপর আর নম্বর ছাড়া নৌকা সমুদ্রে নামতে পারবে না। রেজিস্ট্রেশন নম্বরটা দেবে মৎস অধিদপ্তর।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চার মাসের মধ্যে নৌকা বা শিপ যেগুলো সমুদ্রে যাবে তাদের রং করে একটা নম্বর দিতে হবে। সেটা তারা ঠিক করবেন কোন কালারটা সুইটেবল হবে সমুদ্রের জন্য, দূর থেকে দেখা যাবে। আলোচনায় এসেছে লাল-সবুজ করা যায় কিনা, সেটার টেকনিক্যাল বিষয় মৎস অধিদপ্তর দেখবে।’
এএ