মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-০৭-২৬ ১৫:৩৩:২০


মিয়ানমারে চার গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় জান্তা সরকারের প্রতি চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মিয়ানমারের প্রতি চীনের প্রভাব অন্য যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরাও বেশি কিছু করবো’।

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করে না। মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে জানতে চাইলে ঝাও লিজিয়ান বলেন, মতপার্থক্য নিরসনে মিয়ানমার তাদের আইন ও সংবিধান অনুসরণ করতে পারে।

নেড প্রাইস বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে ‘স্বাভাবিকের মতো বাণিজ্য’ হতে পারে না। এছাড়া দেশটির কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেশগুলোকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে শাসক গোষ্ঠীটিকে কোনও পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জান্তা শাসকের রাজস্ব আয় বন্ধ করে দিতে ‘সব বিকল্প’ বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট কিয়াও মিন উ, তিনি কো জিমি নামেও পরিচিত। এছাড়া আইনপ্রণেতা পাইও জেয়াকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর এসব অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। রুদ্ধদ্বার আদালতের বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর দাবি এই বিচার অন্যায্য।

পাইও জেয়া এবং কো জিমি গত জুনে দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলে হেরে যান। এছাড়া অন্য দুই অ্যাক্টিভিস্ট হ্লা মিয়ো অং এবং অং থুরা জাও সম্পর্কে কম জানা যায়। জান্তা সরকারের তথ্যদাতা হিসেবে অভিযুক্ত এক নারীকে হত্যার দায়ে তাদের দণ্ড দেওয়া হয়।

মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মিয়ানমারে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একশ’র বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার এসব দণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আসছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউ জিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক যৌথ বিবৃতিতে এগুলোকে ‘নিন্দনীয় সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড যা মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি শাসনের অবহেলার উদাহরণ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এনজে