রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের চাহিদা পূরণ হবে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-০৭-২৭ ১৮:২১:২১


রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমেই ডলারের মূল চাহিদা পূরণ হবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা তো ডলার প্রিন্ট করি না, ডলার আমাদের অর্জন করতে হয়। আমরা ডলার অর্জন করি বিদেশের যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা আমাদের ডলার পাঠিয়ে সাহায্য করছেন এবং যারা দেশ থেকে গিয়ে বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন তারা আমাদের সেই ডলার বা বিভিন্ন কারেন্সি দিয়ে সাহায্য করেন, তারাই আমাদের চালিয়ে নিচ্ছেন। অল্প দিনের মধ্যে খারাপ কোনো অবস্থা হয়নি।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

ডলারের দাম নিয়ে নানান উদ্যোগ নিলেও কাজ হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করতে হবে, কাজ হবে। এগুলো কারা করছে, সেখানে কী উদ্দেশ্য আছে জানি না। এখন কী অব্যবস্থাপনা ছিল, সেগুলো আমরা দেখছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এগুলো যাতে আর না হয় সেগুলো দেখছি। মার্কেটে ডিমান্ডের ওপর ভিত্তি করে সাপ্লাই দিতে হবে, এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এগুলো যদি আর্টিফিশিয়াল পর্যায়ে নিয়ে যায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, এগুলো সরকারের বিভিন্ন মেশিনারিজ আছে, সেগুলো কার্যকর হবে। আর সেগুলো কার্যকর হলেই কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরা দেখি ইম্পোর্ট করা প্রয়োজন, আবার প্রাইজ বাড়িয়ে ইম্পোর্ট করার ব্যবস্থা করা হয়। যখন বাধা দেওয়া হয় তখন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে নিয়ে তথ্য গোপন করে এলসি খোলার ব্যবস্থা করা হয়, এগুলো সঠিক নয়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে করে এগুলো করতে না পারে। আমাদের যে খরচ সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রয়োজন, আমাদের দেশে কিছু পণ্য ইম্পোর্ট করতে হয়। এগুলোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সে পরিমাণ অর্থ আমাদের কাছে আছে। কী পরিমাণ অর্থ লাগবে আমরা সেগুলো কোথায় পাবো সেটি হলো প্রশ্ন। আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে কিছু আমদানি পণ্য থাকে। কিন্তু নেট রপ্তানিতে সেটা আমাদের পক্ষে যাচ্ছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্স আমাদের বড় খাত। এ বছর আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের রেমিট্যান্স অনেক বাড়বে। এরই মাঝে যে সমস্ত শ্রমিক বিদেশে গেছেন, তাদের পরিমাণও বেশি। তারা করোনার পরেই গিয়েছেন। তারা আস্তে আস্তে সেখানে সেটেল হয়ে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির মাধ্যমেই আমরা বিশ্বাস করি আমাদের মূল চাহিদা পূরণ হবে।

এএ