মোংলায় নিলামে ১১৫ গাড়ি, বিড হবে অনলাইনেও
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৭-৩১ ১৮:৫১:৪৪
আগামি ৭ আগস্ট বিভিন্ন মডেলের ১১৫টি গাড়ি নিলামে তুলছে মোংলা কাস্টমস হাউস। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় এসব গাড়ির নিলাম হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বাসার সিদ্দিকী। তিনি জানান, এবারই প্রথম অনলাইন থেকে নিলামে বিড করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘আগ্রহীরা ১ ও ২ আগস্ট মোংলা বন্দরে গিয়ে নিলামে তোলা গাড়ি দেখার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে আছে হায়েস, টয়োটা, নোয়া, নিশান, এলিয়ন, প্রাডোসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৫৫টি গাড়ি ও ১০টি আমদানি করা অন্যান্য পণ্য।’
৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ৭ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নিলামের বিডিং চলবে।
আবু বাসার জানান, অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ বিডারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর সর্বোচ্চ দরদাতাকে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এবারের নিলামে প্রথমবারের মতো অনলাইন থেকে অংশ নেয়া যাবে। বাংলাদেশ কাস্টমসের অনলাইন নিলামের ওয়েবসাইটে গিয়ে মোংলা কাস্টমস হাউজের সেকশনে ক্লিক করলে নিলামের তালিকা পাওয়া যাবে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন করে গ্রাহকরা অনলাইন নিলামে অংশ নিতে পারবেন।’
তবে এই নিলাম নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ রিকনডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) মোংলা বন্দর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আহসানুর রহমান আরজু।
তিনি বলেন, ‘একদিকে বৈশ্বিক মন্দা চলছে, সরকারি সংস্থা ও ব্যাংকগুলো গাড়ি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও এখন গাড়ি কিনছে না। তার মধ্যে আমাদের আরেকটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে কাস্টমস নিলাম প্রক্রিয়া।
‘আমরা এই সময়ে নিলাম না তুলতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করেছি। তবে তারা আমাদের কথা রাখেনি।’
মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথম গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি রিকনডিশন্ড (ব্যবহৃত) গাড়ি আমদানি করে হক-বে অটোমোবাইল কোম্পানি।
মোংলা বন্দরের উপসচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ‘বিদায়ী অর্থ বছরের (২০২১-২২) দেশের সমুদ্র বন্দর দিয়ে মোট ৩৪ হাজার ৭৮৩টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। তার মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল ২০ হাজার ৮০৮টি। যা মোট আমদানি করা গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’
মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান বলেন, ‘মোংলা কাস্টমসের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়।
‘নিলামপ্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধাও হবে। অন্যদিকে সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।’
এএ