হিলিতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-০১ ০৯:২৭:১২
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬-৭ টাকা। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমে যাওয়াকে দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ ৩৩-৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ছিল ২৬-২৭ টাকা। এছাড়া একই জাতের বড় আকারের পেঁয়াজ ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ছিল ২৯-৩০ টাকা। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩৮-৩৯ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, ভারতে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। সেদেশের বাজারেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বাড়তি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে এলসি সংকট। এলসি খুলতে না পারায় ভারতের অভ্যন্তরে আমাদের অনেক পেঁয়াজ আটকে আছে। দেশে পেঁয়াজ না ঢোকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এখন যাদের আগের এলসি খোলা রয়েছে, শুধু তাদের পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করছে। সবাই আমদানি করতে না পারায় বন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ৩৫-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। অথচ গতকাল মাত্র ১৭ ট্রাক আমদানি হয়েছে। ব্যাংক আবার এলসি খোলা শুরু করলে আমদানি বাড়বে এবং দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও তা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ৩০-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫-২০ ট্রাকে নেমেছে। শনিবার বন্দর দিয়ে ১৭টি ট্রাকে ৪৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যেখানে বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ২৩টি ট্রাকে ৬৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এনজে