মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২২-১১-০৮ ১৬:৪৭:২০


বগুড়ায় মাইক্রোবাস চালক নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর মো. শাহিন ও শাহিনুর রহমান, একই জেলার ভুরুঙ্গামারীর নজরুল ইসলাম নজু ও রোকেয়া বেগম, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ইলিয়াস হোসেন ও মো. শাহাজুদ্দিন, বরিশালের বাকেরগঞ্জের রাসেল মিয়া, নরসিংদীর আমির হামজা এবং পটুয়াখালীর বাউফলের জালাল গাজী। এদের মধ্যে জালাল গাজী, রোকেয়া বেগম ও শাহিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে উপস্থিত থাকা দণ্ডিতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, রাসেল ও আমির হামজা কুড়িগ্রামের অপর এক মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত।

অপরদিকে, হত্যার শিকার নুরল ইসলাম সুনামগঞ্জের আমবাড়ি বাজার এলাকার শওকত আলীর ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাস চালক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাসিমুল করিম হলি মামলার বরাতে জানান, ২০১৫ সালের ২ জুলাই সকালে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুরের একটি আম বাগানের পুকুর থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন শেরপুর থানার তৎকালীন এসআই সেরাজুল ইসলাম অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

জানা যায়, নুরুল হক সর্বশেষ ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে মাইক্রোবাস নিয়ে বের হন। সেই সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে কুড়িগ্রাম থেকে শাহীন, রাসেল ও নজরুলকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার ও জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে। জবানবন্দিতে তারা জানায়, মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা চালককে হত্যা করে।

এপিপি নাছিমুল আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডে আমজাদ হোসেন নামে আরও এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে এখনও পুলিশ খুঁজে পায়নি। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে।

এম জি