বন্দরে বৈঠকের পর লাইটার শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-১১ ২০:৩১:১৭


পতেঙ্গা চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু এবং লাইটারেজ শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘাটে টাকা না নেওয়ার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন লাইটার শ্রমিকরা।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দর ভবনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বন্দর চেয়ারম্যান, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, লাইটারেজ শ্রমিক ফেডারেশন ও ঠিকাদার সমিতির নেতাদের সভায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় লাইটার শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘাট সম্পর্কিত লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের যে দাবি ছিল তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর আশ্বাস দেওয়ায় তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগে সকাল ৬টা থেকে ৫ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস, কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে দেন লাইটার শ্রমিকরা।

চেয়ারম্যান ও পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন লাইটার শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নবী আলম জানান, পতেঙ্গা চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যান ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন লাইটারের শ্রমিকরা।

‘পতেঙ্গা সী বিচ এর উত্তর পাশে চরপাড়া ঘাট ইজারা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে লাইটার শ্রমিকরা আনোয়ারা পারকির চর এলাকায় চলে যান। কিন্তু সেখানে শ্রমিকরা জাহাজ থেকে নেমে দৈনন্দিন বাজার করার জন্য চাইনিজ ঘাট ব্যবহার করে আসছিল। সেই ঘাটে শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, বাজার নিয়ে জাহাজে ফিরতে পারেননি অনেক শ্রমিক। বাধ্য হয়ে ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন লাইটার শ্রমিকেরা।

বিদেশ থেকে গম, চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, তেল, ক্লিংকার ইত্যাদি খোলা পণ্য বড় জাহাজে বহির্নোঙরে (সাগরে) আনা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন গুদাম, ঘাট, ডিপো, শিল্প-কারখানায় এসব পণ্য নিয়ে যায় লাইটারেজ জাহাজ। লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে দিনভর খোলা পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যত বন্ধ ছিল।

এএ