জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-১৮ ২১:২৫:৩৯


বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় কৃষক সমাবেশে সরকারি প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।

সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানো এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সমাবেশ বানচাল করতে সিরাজগঞ্জে পুলিশ গুলি করেছে।

বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রীকেও গুলি করেছে। সিলেট ও হবিগঞ্জে গুলি করেছে। জনগণকে সরকার ভয় পায় বলেই এসব করছে।

সরকারকে নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ আসবে। তাই সময় থাকতে সরকারের সরে যাওয়া উচিত। নইলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে তাদের বিদায় নিতে হবে।

মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কৃষকরা যারা দিনরাত পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, সরকার তাদের বিনা মূল্যে সার দেওয়ার অঙ্গীকার করেও কথা রাখেনি। এখন ইউরিয়া ও পটাশ সারের দাম বেড়েছে অনেক। ধান বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। পরিকল্পিতভাবে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে সরকার।

তাবিথ আউয়াল বলেন, সরকার কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার ও কীটনাশক দিতে পারছে না। অথচ তাদের কাছ থেকে অল্প দামে পণ্য কিনে নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত কৃষকদের ঠকাচ্ছে সরকার। তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে কৃষকদের অংশগ্রহণ করে সরকারের সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে হবে।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় কৃষক সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

এএ