পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়ে বিএমবিএ’র চিঠি

পুঁজিবাজার ডেস্ক আপডেট: ২০২২-১১-৩০ ১৬:৩৬:৩৯


বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াদ মতিন সাক্ষরিত একটি চিঠি গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়।

এই চিঠিতে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে। এ বিষয়ে কোনো কোনো সময় আংশিক বা খণ্ডিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাতে সাময়িক কিছুটা ইতিবাচক অবস্থা দেখা গেলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ধারাবাহিক নিম্ন ধারায় চলে যায় এবং হতাশার তৈরি হয়।

এছাড়াও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে ওই চিঠিতে ৬টি প্রস্তাব সুপারিশ করেছে বিএমবিএ। সুপারিশগুলো হলো-

১. সব ধরনের বন্ড ও ডিবেঞ্চার পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখা।

২. মিউচুয়াল ফান্ডকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখা।

৩. পুঁজিবাজার বিনিয়োগে নিজ সাবসিডিয়ারিকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বোরোয়ার এক্সপোজার রিল্যাক্স করা।

৪. পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে ২ শতাংশ সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হয়। অথচ অন্য সব ঋণের ক্ষেত্রে সেটি ১ শতাংশ। তাই ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হয় বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি ধরা হয়। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে অন্যান্য ঋণের মতো সাধারণ সঞ্চিতি ১ শতাংশ ধরা হলে বাজারে অর্থের যোগান বাড়তে সাহায্য করবে।

৫. সমন্বিত পুঁজিবাজার এক্সপোজার হিসাব রিপোর্টিং স্থগিত করা প্রয়োজন। পুঁজিবাজারের আকার বৃদ্ধিতে এটি প্রতিবন্ধকতা।

৬. ভালো প্রতিষ্ঠান বা যারা ভালো ব্যবসা করেন তারা সহজে যে কোনো পরিমাণ ঋণ পায়। তারা জামানত দিয়ে সহজেই ঋণ পেয়ে যায় বলে পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে না। বড় বা ভালো মানের প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না হলে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে না। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ, মূলধন বা ব্যবসার আকৃতির ওপর তালিকাভুক্তির একটি কাঠামো নির্ধারণ করা যেতে পারে।

বিএমবিএর চিঠিতে আরও বলা হয়, বৃহৎ বা ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা গেলে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা মনে করেন, চিঠিতে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সমাধান করা হলে দেশের পুঁজিবাজার নতুন মাত্রা পেতে পারে।

এনজে