উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অনিয়ম দেখার কেউ নেই!

আপডেট: ২০১৬-০৪-০২ ১৭:১০:৪৭


Untitled-1কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসার তৌফিকুর রহমান টাকার বিনিময়ে যে কোন অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে হর হামেসাই কাজ চালিয়ে যাচ্চেন। এ বিষয়ে কোন শিক্ষকের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই। দুই একজন প্রতিবাদ করলেও তাদের হিতে বিপরীত হয়।

সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চের শেষ তারিখ পর্যন্ত বদলীর নিয়ম থাকায় অধিকাংশ শিক্ষকই তাদের সুবিধা মূলক স্থানে বদলী নিতে চায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৌফিকুর রহমান যে কোন বদলীর জন্য সুযোগ বুঝে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন বলে জানা যায়।

সূত্রমতে, গত ২২-০২-২০১৬ তারিখে এ রকম একটি ঘটনা ঘটে শিক্ষা অফিসের মিটিং এ। বদলীর জন্য অনেক আবেদনকারী তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলে আবেদন করেন। কিন্তু অফিস সহকারি রুহুল আমিন ও তৌফিকুর রহমান তাদের মনোনীত প্রার্থীদের আবেদন মিটিং এ উপস্থাপন করেছেন অন্যদের আবেদন উপস্থাপন করেননি। ফলে তারা সাধারন শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা মিটিং থেকে পালিয়ে যান।

সূত্রে জানা যায়, আনন্দ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবেদনকারী সেলিনা বেগম সিনিয়র শিক্ষক হওয়ায় তার আবেদন মিটিং উত্থাপন না করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জুনিয়র শিক্ষকের প্রস্তাব পাঠান। আবার পশ্চিম শিববারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর আবেদন কারী সচিবা বেগম স্থানীয় হওয়ায় তার আবেদন উপস্থান না করে ব্যাক ডেট দিয়ে আন্ত জেলা বদলীর অন্য একজনের নামে প্রস্তাব পাঠান। পরবর্তীতে সেলিনা বেগম জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিলে উক্ত স্কুলে বদলী স্থগিত রাখেন।

মালতি বাড়ী দিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য আবেদন কারী শামমী আকতারের কাছে জানা যায়, তিনি যথাসময়ে আবেদন করলেও তার প্রস্তাব না পাঠিয়ে ব্যাকডেট দিয়ে আন্ত জেলা বদলীর আবেদন কারী আয়েশা সিদ্দিকা নামে প্রস্তাব পাঠান। পরবর্তীতে গত ৩০-০৩-২০১৬ তারিখে শামমী আক্তারের দলীর আদেশ আসলে তৌফিকুর রহমান সেটি গ্রহন না করে তার মনোনীত ব্যাক্তির রংপুর ডি ডি অফিস থেকে বদলীর আদেশকারী আয়েশার আদেশ আনার জন্য ফোনে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

চার  ঘন্টা পরে বদলীর আদেশ হাতে হাতে নিয়ে আসলেও সেটিই গ্রহন করেন । বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়। বিষয়টি জানা জানি হলে উলিপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা আসলে তাদের সাথে কথা না বলে তৌফিকুর রহামন ও রূহুল আমিন দ্রুত অফিস থেকে চলে যান।

বিষয়টি নিয়ে জেলা পাথমিক শিক্ষা অফিসার এনামুল হক জানান, আমি আমার করণীয় করে দিয়েছি বাকী কাজ করা না করা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ব্যাপার। তৌফিকুরের নামে এ রকম ঘটনা পূর্বে অনেকবার ঘটলেও কেউ এর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।