তদন্তের শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে সিআইডি

আপডেট: ২০১৬-০৪-০৩ ১০:৪১:৪৩


Tanuকলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) টিমের সদস্যরা। ঘটনাস্থল গিয়ে খুনের আলামত যথাযথভাবে না পাওয়ার কথা বলছেন তারা। একই সঙ্গে খুনের সময় নিয়েও তারা বিভ্রান্তিতে আছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানানিবাস এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি টিম। সেখানে গিয়ে খুনের আলামত নষ্টসহ বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখতে পান। এসময় তনুর বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই টিমের সঙ্গে ছিল।

তদন্ত টিমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) আব্দুল কাহার আকন্দ পিপিএম। তার সঙ্গে আছেন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ইনছান উদ্দিন, কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের সিআইডির পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানসহ কুমিল্লা জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা।

পরে তারা তনুর বাবা-মাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার এএসপি জালাল উদ্দিন আহমেদ, এএসপি মোজাম্মেল হক, ইন্সপেক্টর খন্দকার গোলাম শাহ নেওয়াজ, মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গাজী মো. ইব্রাহিম, সদর থানার ওসি এমএন রব. মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ওসি একেএম মনজুর আলম প্রমুখ।

কুমিল্লার এএসপি জালাল উদ্দিন আহমেদ বাংলামেইলকে জানান, সিআইডির টিমের সদস্যরা সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে তনু হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর সেনানিবাস এলাকার ভেতরে তনুর বাসায় যান। এছাড়াও তনু যে বাসায় টিউশনি করতেন ও কম্পিউটার শিখতেন সেখানে গিয়েও খোজ-খবর নেন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তনুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করে সিআইডি কার্যালয়ে আসেন।

এএসপি জালাল উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে খুনের আলামত যথাযথভাবে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া খুনের সময় নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি তদন্তে র‌্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়