নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১২-০৬ ১৯:৪২:০১
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ক্লিন এনার্জি বিস্তারে সরকার পরিকল্পনা অনুসারে এগুচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এমনিতেই কার্বন নিঃসরণ কম করে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫% পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ক্লাইমেট চেঞ্জ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে দায়িত্বশীল অবদান রাখছে। বাংলাদেশের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ গ্রিন এনার্জি টান্সজিশন আয়োজিত “ইনভেস্টিং ইন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন: পার্টনারশিপ অপরচুনিটি ফর বাংলাদেশে অ্যান্ড ইউরোপ” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অব বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিয়ারা ভিদুসি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্ডা ও স্রেডার চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
নসরুল হামিদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জ্বালানি ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগ। বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ থাকলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে শর্তহীন বিনিয়োগ অপরিহার্য। একটি শক্তিশালী জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সমন্বিত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, জ্বালানি রূপান্তর কার্যকরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকা বা দেশের প্রেক্ষাপটে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানি পরিষ্কার করার প্রযুক্তি থাকা প্রয়োজন। কপ ২৬ বা কপ ২৭-এ প্রতিশ্রুত অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট দেশে বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ভাসমান সোলার নিয়েও একসাথে কাজ করার সুযোগ আছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী।
এএ