ইইউ-ব্রিটেনের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ইরানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১২-১২ ২১:১৮:২৯
চলমান বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ব্রিটেনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান। গণমাধ্যম, একটি সামরিক ঘাঁটিসহ নয়টি প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমান ও সাবেক রাজনীতিবিদসহ ২৩ ব্যক্তির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বর থেকে ইরানজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সহিংসতায় তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। তারপরও দমে না গিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ইরানের সাধারণ জনগণ। তবে এসবের পেছনে বিদেশি শত্রুর ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে দেশটির সরকার।
চলমান বিক্ষোভ, সন্ত্রাস ও অস্থিরতায় ইইউ ও যুক্তরাজ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে বরাবরই অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরানের এই নিষেধাজ্ঞায় বিদেশভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রেডিও ফারদা, মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির ইরান শাখা, রেডিও জামেনাহ ও ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন চার্লি হেবদো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় জার্মানের দুটি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হলো: ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেডিং জিএমবিএইচ ও গিডলেমেইস্টার প্রজেক্টা জিএমবিএইচ। ১৯৮০-র দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় সাদ্দাম হোসেন সরকারের ব্যবহৃত রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে এই দুটি কোম্পানির প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল।
ইইউর নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই জার্মান রাজনীতিবিদ। এ ছাড়া প্রভাবশালী ফরাসি রাজনীতিবিদ এবং মেডেকিন্স সানস ফ্রন্টিয়ের (এমএসএফ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা বার্নার্ড কাউচনার ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাবেক আইনপ্রণেতা রয়েছেন।
ব্রিটেনের ওপর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ এবং ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান জিওফ্রে বিন্ডম্যান এবং পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
এএ