ইরান-রাশিয়ার ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১২-১৩ ২১:০৭:৪০


ইউক্রেন ইস্যুতে ইরান ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য সামরিক ড্রোন উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত উভয় দেশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইরানের তৈরি সামরিক ড্রোনের বড় ভূমিকা রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সম্প্রতি রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছে ইরান।

তবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার পশ্চিমা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান ও মস্কো। উভয় পক্ষের এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে রুশ ও ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘ইউক্রেনীয় শহর ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রুশ সেনাবাহিনীর হামলার অবশ্যই জবাব দেয়া হবে।’

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রুশদের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর কমান্ডার। এর মধ্যে মেজর জেনারেল রবার্ট বারানোভের নামও রয়েছে। এর আগে ইরান থেকে ড্রোন কেনার দায়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান একেবারে অগ্রভাগে ছিল তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্স এবং ৯২তম রাষ্ট্রীয় ড্রোন কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করেন।

ওয়াশিংটনের দাবি, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র এবং ড্রোন কিনেছে যা তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের শামিল। ওয়াশিংটন আরও দাবি করছে, ইরান থেকে ড্রোন প্রযুক্তি কিনে রাশিয়া গণভাবে উৎপাদনের ব্যবস্থা করবে।

এদিকে রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা দিতে জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের খসড়ায় রাশিয়ার সেলিব্রিটি, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, ব্লগারসহ ১৪৪ ব্যক্তির নাম রয়েছে।

এ পর্বে রেন টিভি, টিভি নভোস্তি, এনটিভি, এনটিভি মির ও রসিয়া-ওয়ান টেলিভিশনের প্রধানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনটিভি-মির, রসিয়া-ওয়ান ও রেন টিভির ইইউ অঞ্চলে সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।

নিষেধাজ্ঞার খসড়ায় মস্কো ক্রেডিট ব্যাংক ও ফার ইস্ট ব্যাংকসহ রাশিয়ার কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইউরোপে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে। রাশিয়ার খনি খাতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবও রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় নিবন্ধিত ১৬৯টি কোম্পানির কাছে ডুয়াল-ইউজ প্রযুক্তি বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

এএ