আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
আপডেট: ২০১৬-০৪-০৫ ১৪:৫০:৪০
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলা, গুলশান থানার একটি মামলা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এবং গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ জন্য গুলশানের বাসভবন থেকে তিনি আদালতের পথে রওনা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় পৌঁছাবেন। ওই আদালতে একটি মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানির পর ওই ভবনের ৬ তলায় অবস্থিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ আদালতে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিন চাইবেন। এরপর তিনি ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে আরও তিনটি মামলায় জামিন চাইবেন।
জামিন পাওয়া সম্পর্কে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বয়স এখন ৭০। তাই সব দিক বিবেচনায় আমরা আশা করি আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণ করা মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ হওয়ার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গত ৩০ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এছাড়া একই ঘটনায় চার্জশিট হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের অপর একটি মামলা। ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে সমন দেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন তার পক্ষে সময় চাওয়ায় ১০ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া ওই মন্তব্য করেন।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ মে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।
২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দুটি রিট আবেদন খারিজ করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুয়ায়ী আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটিতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গুলশানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে পেট্রোলবোমা হামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।