দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১২-২০ ১৮:২০:২১


দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা থেকে পৃথিবীর কোনও দেশই মুক্ত নয় এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা (ওআইসি) এর সদস্য দেশগুলোর দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগকারী কতৃপক্ষের জন্য প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের দুদিনব্যাপী সম্মেলনে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত নিয়ন্ত্রন কাঠামো ও তদারকি ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্তরে জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ কাঠামো, উন্নত শাসন ব্যবস্থা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং কমিউনিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা ইউনিট, সততার দোকান ও সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার জন্য গনশুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সকল স্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধে ফৌজদারি আইন, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে তথ্য কমিশন, মানি লন্ডারিং আইন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সরকারি ক্রয়ে সচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম প্রতিরোধসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এ পর্যায়ে আইন মন্ত্রী স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় ওআইসি এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, সৌদি আরবের দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাজিন ইব্রাহিম আল কাহমুস। এই সভায় ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, জাতিসংঘের ড্রাগস এন্ড ক্রাইম অফিসের নির্বাহী পরিচালক, ইন্টারপোলের মহাসচিব সহ ওআইসি সদস্য রাষ্ট্র সমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগন ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন অংশগ্রহন করেন। সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে ওআইসি দূর্নীতি বিরোধী কনভেনশন গৃহীত হয়।

এএ