১২ দলীয় জোটের শক্তি একটা ওয়ার্ড আ. লীগের চেয়েও কম : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১২-২২ ১৮:৫২:৩০
বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোট ভেঙে ১২ দল করেও এগোতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করার জন্যই ২০ দলীয় জোট করেছিল। তারা দেখতে পেল ২০ দলীয় জোটের গাড়ি মোটেও এগোয়নি। এখন ২০ দল ভেঙে ১২ দল করলে আরো এগোবে না, পিছিয়ে যাবে।
যে ১২ দলের কথা বলা হচ্ছে তাদের অনেকগুলো দল অনভিজ্ঞ এবং এই ১২ দলীয় জোটের সম্মিলিত শক্তি আমাদের একটা থানায় কিম্বা ঢাকা শহরের একটা ওয়ার্ডের শক্তির চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে কম।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কূটনীতিবিদদের কথা বলা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। রাশিয়ার দূতাবাস থেকে যে বিবৃতিটা দেওয়া হয়েছে সেখানে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। কিছু দেশ যখন কোনো সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তখন তারা সংশ্লিষ্ট দেশে মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। অথচ দেখা যায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সেসব দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, একসময় আমাদের বাজেট প্রণয়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্যারিস কনসোর্টিয়ামের মিটিংয়ে ছুটে যেতে হতো। বাজেটের বেশির ভাগ অংশ আসতো অনুদান এবং ঋণ থেকে। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আমাদের বাজেটের বেশির ভাগ, প্রায় ৯০ শতাংশ আমরা নিজেরা যোগান দেই। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বৈদেশিক ঋণ নেই না, প্রত্যাখান করি। আমরা এখন কারো মুখাপেক্ষী দেশ না। বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে। আমি মনে করি যখন কোনো বিদেশি কূটনীতিক আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন, সেটি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অনেক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের মতো দাঁড়ায়। তবে এই ক্ষেত্রে আমি তাদেরকেই দোষ দেব যারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে ছুটে যায় এবং তাদের পদলেহন করে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে, তারাই প্রকৃত দোষী।
সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তরের আগে অর্জন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এবং এইচ এম মেহেদী হাসান গ্রন্থিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ’ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, প্রকাশক আবু হাশেম সরকার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এএ