আমরা ভারতের দালাল নই, অকৃত্রিম বন্ধু: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১২-২২ ১৯:৩৬:৫৪


খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা ভারতের দালাল নই, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের কথা অনন্য ইতিহাসের অংশ।’

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর স্থানীয় এক হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাজশাহীতে থাকা ভারতের সহকারী হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, কখনও ওষুধ, কখনও খাদ্য কিংবা সেবার মাধ্যমে বুকভরা ভালবাসা দিয়ে ভারতের মানুষ যে ঋণের জালে আবদ্ধ করেছেন, সে ভালোবাসা কোনো দিন বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে পারবেন না। বন্ধুত্ব আর আস্থার জায়গা আরও শক্তিশালী করতে উভয় দেশ তাই আজও নিরলসভাবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও সে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আর মুক্তিযোদ্ধারাই পারেন তাদের যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের এ সম্পর্কের ভিত্তি ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে। এ সময় তিনি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে উভয় দেশের জনগণের যোগাযোগ, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনার আহ্বান জানান।

রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, প্রতিটি ভালো কাজে ভারত বাংলাদেশকে সঙ্গে রাখে। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে থেকে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছেন ভারতের জনগণ। দুই দেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে- যা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে করেছে আরও মজবুত ও শক্তিশালী।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বক্তব্য রাখেন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এএ