নিহতদের পরিবার ১০ লাখ টাকা করে পাবে
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-০৭ ১৫:২৮:৫৩
চট্টগ্রামের বাশঁখালীতে গত সোমবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। এছাড়া ওই ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান।
আজ সকালে বাশঁখালীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ৩ দিন পরে চট্টগ্রাম নগরীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবারের সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে দায়ী করে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ফায়দা লোটার জন্য গ্রামবাসীকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে এলাকায় কোনো বিরোধীতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি। বাঁশখালির ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, চাঁদাবাজি করার জন্য একটি পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয়রা এই প্রকল্পের বিরোধীতা করছে, এ অবস্থায় স্থানীয় সাংসদ হিসেবে আপানর দায়িত্ব কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়। তারাই এ বিষয়টা দেখবে।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলা হয়, সোমবারের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। সেই সাথে প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীকে যথাযতভাবে পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহানা আক্তার, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ঠা এপ্রিল চট্টগ্রামের বাশঁখালী এলাকায় বেসরকারি খাতে কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১১ পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন।
ঘটনায় নিহতরা হলেন- গণ্ডামারা ইউনিয়নের চরপাড়ার দুই ভাই মরতুজা আলী (৫৫) ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৪৪), একই ইউনিয়নের রহমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা জাকের আহমদ (৬০) ও জাকের হোসেন (৩০)।
উল্লেখ, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা পশ্চিম বড়ঘোনায় বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগে এজন্য চীনের সেপকো ও এইচটিজির সঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি করে এস আলম গ্রুপ।
এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিকানা চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের। বাকি ৩০ শতাংশের মালিকানা থাকছে দুই চীনা প্রতিষ্ঠানের।
সানবিডি/ঢাকা/আহো