পোলিং এজেন্টকে পিলারে বেঁধে রাখলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২২-১২-২৯ ১৮:৩৮:৫৩


নোয়াখালী ইউনিয়ন নির্বাচনে মো. সেলিম নামের এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

মো. সেলিম নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্ট ছিলেন।

জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রে এক নারী ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছিলেন মো. সেলিম। ওই সময় জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাকে আটক করে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম করলেই শাস্তি পেতে হবে। মাত্র একজনকে বেঁধে রেখেছি। সাংবাদিক ছবি তোলেন। অনিয়ম দেখলে জানাবেন।

দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মো. সেলিম বলেন, ইভিএম নতুন পদ্ধতি। নারীরা কখনো ইভিএমে ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিচ্ছিলাম। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

নোয়াখালীর মানবাধিকার কমিশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বি এম কামাল উদ্দিন বলেন, এভাবে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তার দোষ থাকলে প্রচলিত আইনে শান্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এভাবে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি।

তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী জোছনা বেগম বলেন, সব বুথে এভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা ভোটারদের সুবিধার জন্য। কিন্তু একটা মানুষকে এভাবে বেঁধে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি অনেকবার বলেছি আমার কথা শুনেনি নির্বাচন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, এ সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিচ্ছি।

নোয়াখালী সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ধর্মপুর ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৭৫৬ জন, নোয়ান্নই ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৮০৯ জন ও নোয়াখালী ইউনিয়নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ২৬ হাজার ৫৭৫ জন ভোটার।

আই এইচ