কোম্পানির পুরো তথ্য প্রকাশ করবে ডিএসইর ওয়েবাইট

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-০৭ ১৮:০১:৫০


DSE copyবিনিয়োগকারীদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা করে দিতে তালিকভুক্ত কোম্পানির প্রায় পুরো তথ্য ভান্ডার নিয়ে ওবেসাইট সাজিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)। আগে বিনিয়োগকারীদের কাছে যা অনেকটা গোপন ছিল। এখন থেকে ডিএসইর ওয়েব সাইটেই তা পাওয়া যাবে।

কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং স্টাটাস, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন সময়ে তাকে জরিমানা করেছে কি-না বা আইন ভঙ্গ করেছে কিনা এমন তথ্য, লেনদেন শুরু করার তারিখ, কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান, বিজনেস সেগমেন্ট, তথ্যর বিস্তারিত গ্রাফিক্স চিত্র, আদারস কম্প্রিহেনসিভ ইনকাম, ত্রৈমাসিক ও ষাণ¥াসিক হিসাব তথ্য, পিই রেশিও, শেয়ার হোল্পারদের অনুপাত, ঋণের অবস্থা, করপোরেট পোর্ট ফোলিও পাওয়া যাবে ডিএসই ওয়েবসাইটে।

আপগ্রেডেট ভারসন অব লিস্টেড সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন অন ডিএসই ওয়েবসাইট বিষয়ে জানান ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) স্বপন কুমার বালা। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় ডিএসই প্রাঙ্গনে এজন্য আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলন। এরসম আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএসইর সিআরও জিয়াউল হাসান খান, সিএফও আব্দুল মতিন পাটওয়ারি, ডিএসই কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কামরুন নাহার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর এমডি বলেন, কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে কারা নিয়ে আসছে তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোম্পানির নাম নয় কাদের নেতৃত্বে সেটি বাজাওে আসছে তা মূল্যায়ন করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা করে দিতে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত সঠিক হলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে। কোম্পানির তথ্যে গড়মিল হলে অ্যাকাউন্টেডদের বিশ্বসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।

নতুন করে সাজানো ওয়েবসাইটে তথ্য দিতে পারেনি ২৯টি কোম্পানি। কারণ হিসেবে ডিএসইর এমডি বলেছেন, এসব কোম্পানির প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে গড়মিল দেখা গিয়েছে। এর জন্য কোম্পানির অডিট ফার্ম দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরকে বলা হয়েছে দ্রুত তা ঠিক করে দেওয়ার জন্য।

জানানো হয়েছে, ওয়েব সাইটটির বাংলা ভারসনও করা হয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৫৬০টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ২৯০টি কোম্পানি রয়েছে। আপাতত কোম্পানি ও সিকিউরিটিজের সকল তথ্য ওয়েবসাইটে ডিএসই আপলোড করবে। কিন্তু শীঘ্রই এ দায়িত্ব সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও সিকিউরিটিজকে দেওয়া হবে। তারা তাদের তথ্য নির্দিষ্ট সময়ে আপলোড করতে পারবে। কোন তথ্য কোন সময়ে দেওযা হয়েছে তার সময়ও উল্লেখ থাকবে। এতে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জানতে পারেব বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।