হিলিতে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১২-৩১ ০৯:৪৫:৫২
বিভিন্ন জটিলতায় এক বছর বন্ধ থাকার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে আবারো কয়লা আমদানির ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ভারত থেকে আমদানীকৃত কয়লা বোঝাই ট্রাকগুলো দেশে প্রবেশ করে। সর্বমোট পাঁচ ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা আমদানি করা হয়। ভারতের বিহার প্রদেশের রানীগঞ্জ অঞ্চল থেকে ৯৫ ডলার মূল্যে প্রতি টন কয়লা আমদানি করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশী টাকায় ৯ হাজার ৭৫৩ টাকা। বন্দর দিয়ে এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কয়লা আমদানি হয়েছিল। সে সময় বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ৭২ টন কয়লা আমদানি হয়েছিল।
বন্দর থেকে কয়লা খালাসের জন্য আমদানিকারক মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়লা আমদানিতে পড়তা না থাকাসহ নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। দীর্ঘ চার বছর বন্ধের পর গত বছরের নভেম্বরের শেষে বন্দর দিয়ে এক কনসার্নমেন্ট কয়লা আমদানি হয়েছিল। কিন্তু দামে পড়তা না থাকায় আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বাজারে কয়লার দাম বেশি হওয়ায় ও ভাটাগুলোয় কয়লার চাহিদা ব্যাপক থাকায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর মেসার্স গুপ্তা ইন্টারপ্রাইজ কয়লা আমদানি শুরু করেছে। আজকেই প্রথম চালান পাঁচ ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা বন্দরে প্রবেশ করেছে। এখনো কয়লার ডকুমেন্টস পাইনি। আগামী শনিবার এলসিসহ যাবতীয় কাগজপত্র পাব। এরপর কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা হবে। এর পরীক্ষণ শুল্কায়ন সম্পূর্ণ করলে কত টাকা ট্যাক্স পড়বে তা বোঝা যাবে। মাল খালাসের পর শুল্কসহ দাম হিসাব করে আমদানিকারকের যদি পড়তা হয়, তাহলে নিয়মিত কয়লা আমদানি করবেন। ভারত অংশে কয়লা আমদানিতে যেসব জটিলতা রয়েছে, সেগুলো যদি না থাকে এবং যথাসময়ে ঢুকতে পারে ও পড়তা থাকে, তাহলে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে কয়লা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বাজারে কয়লার বেশির ভাগ চাহিদা মেটানো হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানির মাধ্যমে। এছাড়া বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার ভূমিকা রয়েছে চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে। কিন্তু এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে বিদেশ থেকে কয়লার আমদানি আগের তুলনায় কমেছে। তাই কয়লার দাম ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা আমদানি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি নতুন করে কয়লা আমদানির ফলে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে। কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে কয়লা যাতে দ্রুততার সঙ্গে খালাস করে আমদানিকারকরা নিয়ে যেতে পারেন, এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।
এনজে