বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম, কমেছে আটা ও ময়দার দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-০১-০১ ২০:২৭:৫৯
নতুন বছরের প্রথম দিনেই বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে খোলা তেলের দাম। তেলের দাম বাড়লেও কমেছে আটা ও ময়দার দাম। খোলা আটার দাম ৪ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। যা আগে ছিল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।
রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
টিসিবি জানিয়েছে, রোববার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে বোতলের সয়াবিন তেল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, দেশি হলুদ, জিরা, দারুচিনি, ধনিয়া ও তেজপাতার দাম বেড়েছে। বিপরীতে বছরের প্রথম দিন আটা ও ময়দার দাম কমার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে ডিম, দেশি আদা, দেশি রসুন, আলু, পাম অয়েল ও চালের দাম কমেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ জানুয়ারি খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এতে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। যা আগে ছিল ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা।
খোলা আটার দাম কমেছে ৪ শতাংশ। এতে এক কেজি খোলা আটা ৫৮ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। খোলা ময়দার দাম ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে কেজিতে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৭২ টাকা। প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে প্যাকেট ময়দার কেজিতে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ ডিসেম্বর চিকন এবং মোট চালের দাম কমেছে। এর মধ্যে চিকন চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে এক কেজি চিকন চাল ৫৮ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৫৮ থেকে ৭৮ টাকা। আর মোটা চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এতে এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকায়। যা আগে ছিল ৪৬ থেকে ৫৫ টাকা।
চালের পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় রয়েছে সুপার পাম অয়েল, আলু, দেশি রসুন ও আদা এবং ফার্মের ডিম। এর মধ্যে সুপার পাম অয়েলের দাম ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। এতে এক লিটার সুপার পাম অয়েল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪২ টাকা। আলুর দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এতে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ২২ টাকায়। যা আগে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম কমেছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি রসুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা। দেশি আদার কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। আর ফার্মের ডিমের হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। যা আগে ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
গত এক সপ্তাহে তেজপাতার দাম ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। এতে এখন এক কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। ধনিয়াপাতার দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে এক কেজি ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায়। যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে জিরা ও দারুচিনিও। এর মধ্যে জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকায়। যা আগে ছিল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। বর্তমানে দারুচিনির কেজি ৪৩০ থেকে ৫২০ টাকা। যা আগে ছিল ৪৩০ থেকে ৫০০ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৮ টাকায়। যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকায়। যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এএ