দারিদ্র্যসীমা থেকে কয়েক কোটি মানুষ বেরিয়ে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০২ ১৯:৩৬:২৩


সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজ করছে সরকার।এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় সমাজসেবা দিবস ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল হৃদয়ের অধিকারী। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। মানবতার কল্যাণে তাঁর এ পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল। সে ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মানবকল্যাণ পদক প্রদানের কাজ শুরু করে। জনকল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর মানবকল্যাণ পদক প্রদান করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচিসমুহ বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটিরও বেশি উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। অদূর ভবিষ্যতে এ বিশাল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সহায়ক হবে।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সব মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

পরে মানবকল্যাণ পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক, স্মারক, সনদপত্র ও অর্থ তুলে দেন মন্ত্রী।

প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আব্দুল জব্বার জলিল, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে খুলনার জেলা প্রশাসন মানবকল্যাণ পদক ২০২০ গ্রহণ করেন। বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতদের কল্যাণে বিশ্ব মানব সেবা সংঘ (বৃদ্ধাশ্রম), প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে এসপায়ার টু ইনোভেইট (এটুআই) প্রোগ্রাম, আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু-নিরাশ্রয় ব্যক্তির কল্যাণে আকবরিয়া লিমিটেড, মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন মানবকল্যাণ পদক ২০২১ গ্রহণ করে।

এএ