নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ঢাকার দুর্দান্ত শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৭ ১৮:২৬:৪২


খুলনার বিপক্ষে জয় পেতে ঢাকাকে মামুলি লক্ষ্যই পাড়ি দিতে হতো। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখেই দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ঢাকা ডমিনেটরস। ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান অধিনায়ক নাসির হোসেন।

অথচ এই নাসিরকেই কিনা বিপিএলের গত আসরে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার তিনি ফিরলেন, সঙ্গে অধিনায়কের গুরুদায়িত্বও পেলেন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিয়েও প্রথম ম্যাচে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। কিন্তু ঢাকার বোলারদের সামনে অসহায় ছিলেন খুলনার তামিম, শারজিল, মুনিম শাহরিয়াররা। এর ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ঢাকা ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

অবশ্য লো স্কোরিং টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। ৪ রান করে বিদেশি রিক্রুট পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। সৌম্য সরকার ১৩ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৮ বলে ২২ করে আউট হন লঙ্কান দিলশান মুনাবিরা, মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৪ বলে ৮।

তবে মাঠে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় সৌম্যর আউট নিয়ে। ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারের সময় স্পিনার নাসুমের করা বলে লেগ বিফোরের আউট দেন আম্পায়ার মোর্শেদ আলি খান। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সৌম্য। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন তিনি। রিভিউ হিসেবে এবার বিপিএলে ছিল বিকল্প ডিআরএস। স্লো মোশনে ভিডিও দেখে রিভিউতে সৌম্যকে আউট দেন টিভি আম্পায়ার। এরপর সৌম্য বিরক্তি প্রকাশ করেন মাঠেই। এমন সময় টিভি আম্পায়ার আবার জানান আউট হননি সৌম্য। এবার সৌম্য শান্ত হতেই মাঠের আম্পায়ারদের ঘিরে ধরেন তামিমসহ খুলনার ক্রিকেটাররা।

আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্তহীনতার কারণে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ককে। অনেকটা সময় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তামিমকে। শেষ পর্যন্ত নটআউটের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

তবে লক্ষ্য ছোট থাকায় বড় কোনও ঝামেলায় পড়তে হয়নি ঢাকাকে। এরপর নাসির হোসেন আর উসমান গনি ধরে খেলে দলকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাদের ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙে উসমান (১৫ বলে ১৪) মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলে।

তবে নাসির দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যেই খুলনা ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। শারজিল খান (৭), মুনিম শাহরিয়ার (৪), তামিম ইকবাল (৮) টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগে সাজঘরে ফেরেন।

আজম খান তার শুরুটা বিধ্বংসী ভঙ্গিতে শুরু করলেও ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকে। খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলি উইকেট ধরে রেখে ২৫ বলে ২৪ করে বিদায় নেন।

টাইগার অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছিলেন আরও স্লো। তিনি ২৮ বল খেলে করেন মাত্র ১৯ রান। শেষ দিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ আর ওয়াহাব রিয়াজের ১০ রানের কল্যাণে ১১৩ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে খুলনা।

ঢাকার পক্ষে পেসার আল আমিন হোসেন ৪টি, আরাফাত সানি ও নাসির হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান।

এএ