তিন ট্যানারি মালিককে পুলিশে সোপর্দ
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১০ ১৪:০৩:২৩
আদালতের আদেশ অমান্য করায় তিন ট্যানারি মালিককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আরও তিন ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রবিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ কোর্ট তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দের আদেশ দেন।
পুলিশের হাতে তুলে দেয়া তিন ট্যানারি মালিক হলেন- পূবালী ট্যানারিজের মাহবুবুর রহমান, রুমি লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাঠান ও মেসার্স প্যারামাউন্ট ট্যানারিজের মো. আকবর হোসেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। কয়েকজন মালিকের পক্ষে ছিলেন শাহ মনজুরুল হক। শিল্প সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানা স্থানান্তরে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে ১০ ট্যানারি মালিককে তলব করেন হাইকোর্ট।
ট্যানারি কারখানাগুরো হলো
১. রানা লেদার, ২. জুলেট ইন্টারপ্রাইজ, ৩. পূর্বালি ট্যানারি, ৪. রুমি লেদার, ৫. সালাম ট্যানারি, ৬. করিম লেদার, ৭. মহিন ট্যানারি, ৮. লক্ষীপুর ট্যানারি, ৯. এশিয়া ট্যানারি ও ১০. প্যারামাউন্ট ট্যানারি।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ট্যানারি স্থানান্তরে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করায় ১০ মালিককে গত ২৩ মার্চ তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। রবিবার তিন মালিক আদালতে হাজির হন। তারা আদালতে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এ কারণে তাদেরকে কোর্ট তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া মেসার্স মাহিন ট্যানারির আবদুল ওয়াদুদ মিয়া, মেসার্স নবীপুর ট্যানারির আব্দুল ওয়াহাব ও মেসার্স এশিয়া ট্যানারির মো. মফিজ মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বাকিদের মধ্যে মেসার্স করিম লেদারের রেজাউল করিম আনসারী, জুলেট এন্টারপ্রাইজের মো. সায়েদুল হক মাস্টার ও সালাম ট্যানারির মো. আব্দুস সালাম মারা গেছেন। বাকি একজন রানা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের আরেফিন সামছুল আলামিন বিদেশে রয়েছেন। এ কারণে তাকে ৩ মে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সানবিডি/ঢাকা/আহো