রাজধানীতে ০৭-০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-০১-১৪ ১১:২০:২৬
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার বিস্তৃত প্রান্তর থেকে ছুটে আসা এসএসসি ২০০৭ ও এইচএসসি ২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় রাজধানীতে যেন লাল-সবুজের পতাকার গোটা মানচিত্রই উঠে এসেছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ছুটির দিনে তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেস মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ‘গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন ০৭০৯’ শিরোনামের আনন্দঘন এই বর্ণাঢ্য আসর।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই শুভ আয়োজনের। এরপর জাতীয় সঙ্গীত শেষে কুশল বিনিময়, করমর্দন আর কোলাকুলিতে রাজ্যের ভালোবাসা তৈরি হয় অনুষ্ঠানজুড়ে। নাস্তার টেবিল থেকে মধ্যাহ্নভোজেও ছিলো কুশল বিনিময় আর খুনসুঁটির পালা। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে প্রমাণিত হলো আত্মার আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো কখনো রক্তের সম্পর্কের বন্ধনকেও হার মানায়।
জমকালো এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রুপ ক্রিয়েটর নাদিরা নিপা। অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় ২০০৭-২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এমন একটি আনন্দঘন পরিবেশে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ২০০৭-২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উল্লাস, উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা দেখে আমার শৈশবে হারিয়ে গেলাম বলেই মনে হচ্ছে। স্কুলজীবনের স্মৃতিগুলো খুবই মনে পড়ছে। বন্ধুত্ব এমন একটা শব্দ যার মূল্যায়নের কোন সীমারেখা নেই। তারুণ্যের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেখে আমি আবেগাপ্লুত।
তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড ও লাল সবুজের পতাকা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজ তোমরা আনন্দ উদযাপন করতে পারছ৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাস ধারণ করে আজকের তরুণরা এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা করছি। তোমাদের গ্রুপের প্রত্যেককেই স্বাগত জানাই। তোমাদের উদযাপন আমাকে বিমোহিত করেছে। তোমাদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে আগামীর নেতৃত্ব। তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ।
এসময় জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব আরাফাত মুন্না। অনুষ্ঠানে গ্রুপের এডমিন প্যানেলকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। সবশেষে ছিলো আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র।
এম জি