“কাউকে বাঁশ দেয়ার জন্য এই লেখা নয়”

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১১ ১৫:৫৩:০৩


Bashআমি কয়েকদিন আগে দেশি বাঁশ চিনতে গ্রামে ঘুরেছি। এর মধ্যে বাঁশ দিয়ে বিল্ডিং বাবানো হবে আর সেই বিল্ডিং নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাবে কল্পনাও করিনি। যাই হোক আমার পর্যবেক্ষণ হয়তো সংশ্লিষ্টদের কাজে লাগবে। বাংলাদেশে হরেক প্রজাতির বাঁশ আছে। একেক বাঁশ দিয়ে একেক কাজ হয়। সবগুলো বাঁশ খুজে পাইনি, তবে মুল প্রজাতিগুলোর ছবি তুলে এনেছি।
মুলত ছয় ধরণের বাঁশ প্রজাতি আমাদের গ্রাম গুলোতে পাওয়া যায়।
১/ বরাক

বরাক বাঁশ
এই বাঁশ শক্ত মোটা, আর অল্প কিছুদুর পরপর গিট তাই এই বাঁশের ভার বহনের শক্তি বেশী। বাঁশের ভিতরেও ভরাট থাকে।
২/ মহাল

মহাল বাঁশ
এই বাঁশ বরাকের চাইতে চিকন এবং বাঁশের ভিতরে বেশী ফাকা জায়গা থাকে। এটাকে মুলি বাঁশও বলা হয়।
৩/ রেঙ্গুন

রেঙ্গুন বাঁশ
এই বাঁশ কম বয়সে খুব চিকন হয়। কম বয়সের রেঙ্গুন বাঁশকে ছিপ বাঁশ বলা হয় (যেটা হাতে ধরা আছে)। এই ছিপ বাঁশ দিয়েই ছিপ তৈরি হয়।
৪/ জাউয়া

জাউয়া বাঁশ
জাউয়া বাঁশ মহাল বাঁশের মতই দেখতে কিন্তু মহাল বাঁশ যেমন ভিতরে ফাপা থাকে জাউয়া বাঁশে সেভাবে ভিতরে ফাকা থাকে না, ভিতরে ভরাট থাকে এবং মহালের চাইতে জাউয়া বাঁশ শক্ত।
৫/ কাউয়া ঠ্যঙ্গা

কাউয়া ঠ্যাঙা
এই বাঁশ কাকের পায়ের মতো বিশ্রী ভাবে বেকে যায়। হাত দিয়ে দেখানো হচ্ছে। বাঁশের জগতে এই বাঁশ কিছুটা অচ্ছুৎ।
৬/ হুলা

হুলা বাঁশ (দুরের সরু বাঁশ গুলো)
এই বাঁশ গাছ পাটের গাছের মতো হয় দেখতে। হুলা বাসেই বাঁশি তৈরি হয়।
আশা করি আপনাদের সন্তানদের দেশি বাঁশ চেনাবেন। বাংলাদেশে বাঁশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আমাকে বাঁশ চিনিয়েছেন কৃষক তমিজুদ্দিন ফকির। সূত্র:  পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক
সানবিডি/ঢাকা/এসএস