১০ টাকায় উষ্ণতার হাসি
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-১৬ ১৭:১২:১১
‘১০ টাকায় উষ্ণতার হাসি’- বাজার হচ্ছে টুগেদার ফর বাংলাদেশ নামক একটি অলাভজনক সংস্থার একটি উদ্যোগ যা বগুড়ার সোনপোচা চর, সারিয়াকান্দি নামক এক প্রত্যন্ত চর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় শীতের সামগ্রী পৌছে দেওয়ার জন্য চিত্রকারখানার সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে।
এই উদ্যোগে কম্বল, সোয়েটার, লোশন, মাফলার, মোজা ইত্যাদি থেকে শুরু করে প্রচন্ড শীতকে মোকাবেলার বিভিন্ন জিনিসের উপস্থাপন করা হয়েছিল। স্থানীয় লোকজনের কাছে যা অবাক করেছিল তা হল সব সামগ্রী একসাথে মাত্র ১০ টাকা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছিল। চরাঞ্চলের মানুষ আয়োজকদের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাদের চাহিদা মেটাতে এই মূল্যের মধ্যে সবকিছু কিনেছেন।
১৪ই জানুয়ারী দলটি বগুড়া সদর থেকে ৪০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সারিয়াকান্দির একটি প্রত্যন্ত চর এলাকা সোনপোচা চরে পৌঁছে। এই চরটি যমুনা নদীর প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এবং ঘোড়া হচ্ছে ঐ গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম।
শীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা নেমে যায় প্রায় ১০ডিগ্রির নিচে যা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য মানিয়ে নেয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়। দেশের কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে দরিদ্র মানুষ প্রায়শই এই ধরনের তাপমাত্রা হ্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। টুগেদার ফর বাংলাদেশ এবং চিত্রকারখানার যৌথ উদ্যোগে সোনপোচা চর এলাকার ৩০০ পরিবারকে শীতকালীন সহায়তা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে যেখানে সবকিছু একত্রে ১০টাকা রাখা হয়েছিল। এই উদ্যোগের পিছনে অনুপ্রেরণা ছিল তাদের মনে করনো যে তারা নিজেরাই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছে। দলটি ওই চর এলাকার একমাত্র বিদ্যালয় উচ্ছ্বাস স্কুল পরিদর্শন করে এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। বিকেলে, গ্রামের লোকদের সম্পৃক্ত করে দলটি তাদের ভবিষ্যৎ পপরিকল্পনা জানার জন্য একটি কমিউনিটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং পরবর্তীতে গ্রামের শিশুদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হয়।
টুগেদার ফর বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম নাজমুস সাকিব বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি প্রত্যন্ত এলাকায় ‘১০ টাকায় উষ্ণতার হাসি’ ব্যবস্থা করার জন্য উন্মুখ। আমাদের উদ্দেশ্য হল সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এই বিষয়ে সচেতন করা যেন তাদের সামান্য সাহায্যেও অনেক মানুষ উপকৃত হতে পারে”।
এই ‘১০টাকার উষ্ণতার হাসি’ বাজার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু করলে দৈনন্দিন এবং শীতকালীন দ্রব্যের সংকটকে আরও বিস্তৃতভাবে প্রশমিত করার পথ প্রশস্ত করবে এবং বিত্তবানদের আরও সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের সহায়তা করতে সচেতন করবে।
এএ