বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না রাশিয়ার আরও ৬৯ জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-২৪ ২১:০৭:৪২


আমদানি করা মেশিনারি পণ্যবাহী রাশিয়ার আরও ৬৯টি বাণিজ্যিক জাহাজ মোংলা বন্দরে পণ্য নিয়ে আসতে পারবে না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে বলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান।

সাতটি কোম্পানির এসব জাহাজকে বন্দরে প্রবেশ, নিবন্ধন, জাহাজ বাঙ্কারিং (তেল সরবরাহ), শ্রেণীকরণ, সনদায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, পুনঃ সরবরাহ, রিফুয়েলিং, বিমা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পরিষেবা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ পতাকা নিবন্ধনকারী সংস্থা কর্তৃক জাহাজের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী যেকোনো ধরনের নিবন্ধন না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে মোংলা বন্দরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।

৫ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে জানিয়ে ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আসা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এই চিঠিতে আমেরিকার শিপিং সংস্থার নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ৭টি কোম্পানি ও ৬৯টি জাহাজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে ৬৯টি জাহাজের তালিকা বন্দরসংশ্লিষ্ট এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে এসব জাহাজ মোংলা বন্দরে যেন প্রবেশ করতে না পারে। এ জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য জাহাজগুলো হচ্ছে-এম ভি স্পার্টা-১, স্পার্টা-২, বেলোমোরস্কাই, সিজহোবকা, ডিভিনস্কাই জালিভ, ইনযিনার টারবিন, ইনযিনার ভেসনিয়াকব, আইহোহান মাহমাসতাল, ক্যাপ্টেন কোকোভিন, রাইনসিন, মেখানিক আরভেস, মিকালইল লোমোনোসোভ, এস কুজনিসোভ, সাইয়ানি সেভারা, এস এমপি নোভোডিভিনেস্ক ও এস এমপি সেভারোডিভিনেস্ক।

মোংলা বন্দরের পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান নুরু অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী এইচ এম দুলাল বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজের তালিকা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে হাতে পেয়েছি। আগে থেকে জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নইলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো।’

রাশিয়ার একটি জাহাজের খবর বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচিত। ‘স্পার্টা-৩’ ওরফে ‘উরসা মেজর’ নামের জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী বহন করে মোংলা বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় ছিল গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে। তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।

এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে বিষয়টি যাচাই করে বাংলাদেশে নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। এরপর জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হলে পণ্য খালাস করতে পারেনি। এই অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।

এএ