শফিক রেহমানের নিঃশর্ত মুক্তি চাইলেন খালেদা

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৬ ১৯:০০:৩৮


Shafiq.khaledaসাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে তিনি শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কষ্টার্জিত বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধ শুরু করেছে। সরকারের অপকীর্তি ও লাগামহীন দুর্নীতির কারণে পায়ের নীচের মাটি সরে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে দেশকে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এক ভয়ঙ্কর অতল গভীর খাদে। মানুষের ভোটাধিকার হরণের পর বাকস্বাধীনতাও কেড়ে নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে তাদের ওপর চলছে দমনপীড়ন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সাজানো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেশের প্রতিথযশা সাংবাদিক ও সম্পাদকদেরও গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী এখন দেশের স্পষ্টভাষী ও সত্য উচ্চারণে অকুণ্ঠ বিদ্ব্যৎজনদেরকেও নির্মূলের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তার পছন্দের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্যদের দিয়ে।

তাদের সেই দুরভিসন্ধি ও নির্মম আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো অশীতিপর, দুর্জয় সাহসী সাংবাদিক ও কলামিস্ট শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এজন্য যে, তিনি বর্তমান শাসগোষ্ঠীর অনাচার, ব্যর্থতা ও কুপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে অবিচল নির্ভয়ে লিখে যান। এই ঘৃণ্য অপকর্মটি করার আরেকটি কারণ হলো- বর্তমান সরকার প্রধানের গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী নীতি শফিক রেহমান তার শাণিত লেখনির দ্বারা ফুটিয়ে তোলেন। শফিক রেহমান সত্য উচ্চারণে অবিচল ও সাহসী এক কলমযোদ্ধা। সেই কারণে তাকে কব্জা করতে না পেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এটি সরকারের চরম স্বেচ্ছাচারিতারই বহিঃপ্রকাশ।

দেশে আজ সম্মানী ব্যক্তি ও সুধীজনদের মানহানী, গ্রেপ্তার করে কণ্ঠরোধ এবং নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের নির্বাক করার হীন অপচেষ্টার কোনো অন্ত নেই। এটাই বর্তমান সরকারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আমি বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই- মামলা, হামলা, খুন, জখম, গুম, অপহরণসহ নানাবিধ বিভৎস অনাচার ঢাকতেই আপনারা শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করেছেন। এর প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা।

আমি আরও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই- বাক, ব্যক্তি, লেখনি, ভাষণ, মূদ্রণের স্বাধীনতাসহ জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করুন। দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন করবেন না। আপনি কখনোই শফিক রেহমানের মতো ঋজু ও আত্মশক্তিতে বলিয়ান কলমযোদ্ধাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পর্যদুস্ত করতে পারবেন না। কারণ আপনার সরকার আজ গণবিচ্ছিন্ন ও জনগণের শত্রুপক্ষ। আমি অবিলম্বে দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।