শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন অক্টোবরে
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-০৭ ১৬:৫৯:৩০
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী বলেছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মিতব্য তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। এ বছরের অক্টোবরে এই কাজের প্রথম ধাপের সফট ওপেনিং (আংশিক উদ্বোধন) হবে, আমাদের বিশ্বাস যথাসময়ে এই কাজ শেষ করতে পারব।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের আংশিক অংশ উদ্বোধন করবেন। আমরা করোনার মধ্যেও এই কাজ এগিয়ে নিয়েছি। থার্ড টার্মিনাল এখন দৃশ্যমান। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন বিভিন্ন রকমের যন্ত্রাংশ আসছে, সেগুলো ইনস্টল করা হচ্ছে। অক্টোবরে মূল ইনফাস্ট্রাকচারের কাজ শেষে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা জাতিরও প্রত্যাশা ছিল। বিমানবন্দর একটি স্বাধীন দেশের গেটওয়ে। বিদেশ থেকে যেসব পর্যটক বাংলাদেশ আসবেন তারা যেন বিমানবন্দরে নেমেই দেশের উন্নতির বিষয়ে ধারণা নিতে পারেন। আমাদের মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। পাতাল রেলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের দিকে।
দেশের এভিয়েশন খাতে নীরব বিপ্লব চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও যশোর বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলছে। নতুন উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে আমাদের কিছু সাশ্রয় হয়েছে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। এই কারণে আমরা কিছু অতিরিক্ত কাজ যুক্ত করেছি, সেজন্য একটু সময় লাগবে। কিন্তু, আমরা তো টার্মিনালটা ফেলে রাখব না। আমাদের ইক্যুইপমেন্টগুলো পুরোপুরি ফাংশনাল (কার্যকর) হতে সময় লাগবে। এখানে আমাদের এপ্রোনের কাজ শেষ হয়েছে।
অর্থ সাশ্রয়ের ফলে অতিরিক্ত কী কাজ হবে জানতে চাইলে মুফিদুর রহমান বলেন, টার্মিনালটা হওয়ার কথা ছিল ১২টা বোর্ডিং ব্রিজ নিয়ে, সেই জায়গায় পুরো কাজ সম্পন্ন হলে ২৬টি বোর্ডিংব্রিজ হবে। এতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। যেখানে ১২ মিলিয়ন যাত্রী হওয়ার কথা, সেখানে আরও ১৬ মিলিয়ন যাত্রী আমরা অতিরিক্ত নিতে পারছি। আরেকটা ভিভিআইপি টার্মিনাল হবে বর্তমানে রানওয়ের পশ্চিম পাশে। ধাপে-ধাপে আমরা এই টার্মিনালের কাজ শেষ করব।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেকসহ বিমান ও বেবিচকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নং টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেন, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
আই এইচ