প্রেমের টানে স্বামী ছেড়ে….

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৯ ০৩:০৫:০৩


10445_b9বিয়ানীবাজারের মেয়ে সোহানী আক্তার বিয়ে করেছিলেন এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীকে। স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। পরে মোবাইল ফোন ও ফেসবুকে প্রেমের টানে ফিরেছেন গ্রামের বাড়ি। স্বামী ও স্বপ্নের আমেরিকা ছেড়ে এখন ঘর করছেন স্থানীয় প্রেমিকের সঙ্গে। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে সোহানীর সংসার করা নিয়ে তোলপাড় চলছে এলাকায়।

এর আগে সোহানীকে ঘটা করে বিয়ে করেন গোলাপগঞ্জের আমেরিকা প্রবাসী আবদুল আনাম। বিয়ের পর সোহানীকে আমেরিকা নিয়ে যান তিনি। সেখানে আনাম-সোহানীর ঘর আলো করে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপরও স্বামীর সংসারমুখী হননি সোহানী। ঝুঁকে পড়েন মোবাইল ফোন-ফেসবুকে পরকীয়ায়। এতে সংসারের আনন্দে ভাটা পড়ে। আমেরিকায় বসে সোহানী সুযোগ খুঁজতে থাকেন দেশে ফেরার। ব্যাকুল হয়ে ওঠেন বাংলাদেশি প্রেমিক মুল্লাপুর ইউনিয়নের পাতন গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আশফাক মাহমুদকে কাছে পাওয়ার জন্য। সোহানীর গোপন প্রেম নিয়ে স্বামী আনামের মনেও সন্দেহের দানা বাঁধে। স্বামীর নজরদারি শুরু হলে সতর্ক হয়ে ওঠেন সোহানী। বেশ কিছুদিন স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকলে সন্দেহ অনেকটাই দূর হয় আনামের। সোহানী দেশের বাড়িতে  বেড়িয়ে আসার জন্য বায়না ধরেন স্বামীর কাছে। সরল বিশ্বাসে আনাম স্ত্রী-সন্তানকে দেশে পাঠান। গ্রামের বাড়ি ফেরার আগেই শাহজালাল বিমানবন্দরে সোহানীকে রিসিভ করেন প্রেমিক আশফাক। মা-বাবা সোহানীকে রিসিভ করতে গেলেও তিনি তাদের সঙ্গে আসেননি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্বামী আনামকে তালাক না দিয়েই আশফাকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সোহানী।

দিকে স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে আমেরিকা থেকে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন আনাম। বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিশও চলছে। বিয়ানীবাজার থানার ওসি মো. জুবের আহমদ বলেন, সোহানীর স্বামী বদলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে সোহানী থানায় এসে একটি জিডি করে গেছেন। এতে দাবি করা হয়েছে, তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্কা ও আমেরিকান নাগরিক। তাকে অযথা হয়রানির অধিকার পুলিশের নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার মরকুমাবাদের আছদ্দর আলীর ছেলে আনাম বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের পাতন গ্রামের ছমির উদ্দিনের মেয়ে সোহানীকে বিয়ে করেন ২০১১ সালের ১১ই মার্চ। বিয়ের পর সোহানীকে আমেরিকা নিয়ে যান আনাম।

১৩ই জানুয়ারি দেশে ফিরেন সোহানী। ওই দিনই বিয়ানীবাজারের আমির কমপ্লেক্স নামক কমিউনিটি সেন্টারে সোহানী-আশফাকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোহানীকে নিয়ে পাতন গ্রামের বাড়িতে ওঠেন আশফাক। সোহানীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। আগের স্বামীকে তালাক ছাড়াই সোহানীর দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণের বৈধতা দেয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রার আবদুল হাসিব ভূঁইয়া পড়েন বিপাকে। এর আগে সোহানী-আনামের বিবাহ রেজিস্ট্রি করেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. জমির হোসেন। তিনি জানান, তার অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়েটাই এখনও বৈধ। কেননা আইনগতভাবে তার কাছে কোনো তালাকনামা আসেনি।