ঢাকা শহরে ভূমিদস্যু রাখবো না: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-০৯ ১৯:২১:০১


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আমি (মেয়র হিসেবে) যতদিন আছি, এইসব ভূমিদস্যু আর রাখবো না। জমি আমার, ভাড়া দেয় তারা! আমি থাকতে তা বরদাশত করবো না।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ১৪নং আউটফল ও ধলপুর তেলেগু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেয়র তাপস বলেন, আমাদের অনেক জমি বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় আছে। ভূমিদস্যু, কুচক্রী মহল বসে বসে আমাদের জমি দখল করে খেয়েছে। জমি আমার, ভাড়া দেয় তারা! আমি থাকতে তা বরদাশত করব না। আমার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা, আমার কর্মচারীরা থাকবে- সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেটা দেখবো।

তিনি বলেন, ১৪ নম্বরে আউটফলে আমাদের ১৫ একর জমি আছে। বিভিন্নভাবে অনেক অসাধু লোক সেখানে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছিল। কিছু অসাধু লোক আমাদের কর্মচারীদের কাছ থেকে সেখানে থাকার জন্য টাকা নেয়। জমি আমার। সেখানে থাকলে আমার কর্মচারীরা থাকবে। বিনামূল্যে থাকবে। তাদের আবার এসব অসাধু লোকদের টাকা দিতে হবে? কেন টাকা দেবে? ঢাকা শহরে আমি যতদিন আছি এসব ভূমিদস্যু আর রাখবো না।

এ সময় ১৪ নম্বর আউটফলে নতুন করে আরও কিছু ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সেখানে অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য আমাদের ১০ একর জমি লাগবে। আমার গাড়ি এখন রাস্তায় রাখতে হয়। রাস্তা থেকে চুরি হয়ে যায়। ঝড়, বৃষ্টি, রোদে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। সেজন্য আমরা গাড়ি রাখার অত্যাধুনিক গ্যারেজ নির্মাণ করবো। সেখানে আমাদের সব গাড়ি, যানবাহনের যন্ত্রাংশ নিরাপদে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বাকি যে ৫ একর জমি আছে, সেখানে আমরা আমাদের কর্মীদের, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবো। পানি, বিদ্যুৎ যা যা লাগবে সেগুলো আমরাই ব্যবস্থা করে দেবো। সেখানে ঘর করে দেবো। সেজন্য আপনারা কাউকে এক টাকাও দেবেন না। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরাই করে দেবো। কিন্তু এর মধ্যে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী, দালালচক্র কোনোরকম যেন পাঁয়তারা করতে না পারে। যদি কেউ করে তাহলে আমার কানে দেবেন (আমাকে জানাবেন)। আর আমার কানে আইলে তো বুঝেন কী অইবো! (আমার কানে আসলে তো বোঝেন কী হবে)।

বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর আউটফল ও ধলপুরে নির্মিত আবাসিক ভবন পলাশে ১০৯ জন, শালুকে ৯ জন এবং শাপলায় ২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আবাসিক ভবন মুকুলে তেলেগু সম্প্রদায়ের ২৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এএ